রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঘর চান বৃদ্ধ আজাহার
আমাকে একটা ঘর দিলে আমি শেষ বয়সে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাকি জীবনটা একটু সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারতাম। আমার মাথা গোজার ঠাঁইটুকু নেই। এভাবেই প্রধানন্ত্রীর কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আকুতি জানান পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের মাঝের দেওর গ্রামের ৭০ বছর বয়সী অসহায় বৃদ্ধ আজাহার হাওলাদার। আজাহার উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের চদ্রি মাঝি গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ হাওলাদারের ছেল।
অনাহারে অর্ধহারে কাটে দিন। তার নেই কোনও জমি জমা, দীর্ঘদিন ধরে অন্যের এক টুকরো জায়গায় ভাঙা ছোট ঝুপড়ি ঘরে থাকেন তিনি। ৭০ বছরেও মেলেনি সুখের হাতছানি। অভাবের তাড়নায় ও বার্ধক্যের কারণে ঠিকমতো চলতে পারে না। চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাচ্ছে। ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে ঝুপড়ি ঘরের এক কোনে বসে নিরবে বৃষ্টিতে ভিজা ছাড়া উপায় নেই তার। সারা ঘরেই পড়ে বৃষ্টির পানি। শীতের সময় ঠাণ্ডা বাতাস বইতে থাকে সারা ঘরে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশের খুঁটি ,তালপাতার বেড়া আর ছেড়া কাগজ দিয়ে কোনো রকমের ছাপড়া দিয়ে ছোট একটি ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে বৌ-বাচ্চা নিয়ে থাকেন অসহায় বৃদ্ধ আজাহার।
স্থানীয়রা জানান, আশেপাশের বাড়িতে তার স্ত্রী কাজ করে তাতেই চলে তার সংসার। অভাব অনটনের এই সংসারে তার অসহায়ত্ব যেন দেখার কেউ নেই।
বৃদ্ধ আজাহার বলেন, আমি পরের (অন্যের) বাড়িতে ১৪-১৫ বছর যাবত থাকি আমার একটা ছেলে আছে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে আমি তার পড়াশোনার খরচ চালাতে পারিনা। মানুষের কাছ থেকে চাইয়ে চিন্তে খাই, নিজের বাড়ি ভিটের জায়গা নাই । আমার নেই কোনো বয়ষ্ক ভাতার নাম। যদি প্রধানমন্ত্রী দয়া করে আমারে (আমাকে) একটা বাড়ি ভিটার জায়গা ও বয়স্ক ভাতার টাকা দেয় তাহলে আমি মরার আগে একটু সুখ দেখে যেতে পারতাম।