reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৬ মে, ২০২১

শরণার্থী ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় এনজিওদের নেতৃত্ব নিশ্চিতের সুপারিশ

রোহিঙ্গা অর্থ সহায়তার পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে সংসদ সদস্যসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বলেছেন, শরণার্থী ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় এনজিওদের নেতৃত্ব থাকতে হবে। রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনার জন্য একটি একক কর্তৃপক্ষ গঠন ও কক্সবাজারের পরিবেশ পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা সাড়াদান পরিকল্পনা (জেআরপি)-২০২১ নিয়ে কক্সবাজার সিএসও-এনজিও ফোরাম আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সাড়াদান পরিকল্পনা (জেআরপি) ২০২১: প্রকৃত কার্যকর? নাকি শুধু নামেই কেবল পরিকল্পনা ঃ ভবিষ্যতের চিন্তা করার এটিই সময়: স্থানীয়করণ এবং গণতান্ত্রিক মালিকানা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তারা এসব কথা বলেন। সংস্থাটির কো-চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও আবু মোর্শেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হেলালউদ্দীন আহমেদ, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাভভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী, দুর্যোগ ফোরামের নঈম গওহর ওয়ারা প্রমূখ।

ওয়েবিনারে সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, রোহিঙ্গা কর্মসূচির জন্য কোনটি প্রয়োজনীয় আর কোনটি বিলাসিতা সেটা চিহ্নিত করতে হবে, অপচয় রোধ করে অর্থের সদ্ব্যবহার করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য হুমকি তৈরি করছে। রোহিঙ্গাদেরকে নিজের দেশে ফেরত নেওয়ার জন্য মায়ানমারকে বাধ্য করার বিষয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্ব দিতে হবে।

সিনিয়র সচিব মো. হেলালউদ্দীন আহমেদ বলেন, মায়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন সংকটে পড়বে বলে মনে হচ্ছে। এতে কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের কষ্ট দীর্ঘায়িত হবে। তাই কর্মসূচি গ্রহণে স্থানীয়দের মতামত ও অংশগ্রহণ প্রাধান্য দিতে হবে। জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, রোহিঙ্গা কর্মসূচিগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে সুসমন্বয়ের কোনও বিকল্প নেই।

সভাপতির বক্তব্যে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে আইএসিসিজ ও জাতিসংঘকে অবশ্যই আইএএসসি নীতিমালা মেনে চলতে হবে। আইএসসিজিকে সরকারের সহযোগী সংস্থা হিসবে কাজ করতে হবে।

ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য গড়ে ৪২৮ ডলার অর্থ সহায়তা এসেছে। আমাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী প্রতিটি পরিবার খাদ্য এবং খাদ্য-বর্হিভূত ত্রাণ, আশ্রয়, বিভিন্ন উপকরণ ইত্যাদি সরাসরি সেবা ও ত্রাণ পেয়েছে ১৩০ ডলারের, অবশিষ্ট অর্থের কতটুকু অন্যান্য সেবাখাতে খরচ হয়েছে, কতটুকুই বা খরচ হয়েছে পরিচালনা এবং ব্যবস্থাপনা খরচ হিসেবে- তার সুস্পষ্ট হিসাব স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করা জরুরি। রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব দীর্ঘ, তাই স্বল্প সময়ের জন্য নয়, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রোহিঙ্গা,শরনার্থী,এনজিও
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close