আবদুল্লাহ হেল বাকী, ধামইরহাট (নওগাঁ)

  ১৫ এপ্রিল, ২০২১

মাঠজুড়ে হাসছে সূর্যমুখী ফুল

তিন ফসলি জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা। প্রকৃতিতে এবার আবহাওয়া সহনীয় থাকায় ফসলের মাঠজুড়ে মৃদু বাতাসে দোল খাচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। সূর্যমুখী চাষে এলাকায় তেলের চাহিদা অনেকটা পূরণ হবে এমনটা আশা করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার জাহানপুর, ইসবপুর, আড়ানগর ও সম্প্রতি খেলনা ইউনিয়নে গেলেই চোখে পড়বে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে অগণিত সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেত। সেখানে প্রকৃতিপ্রেমীদের আনাগোনায় মুঠোফোনের সেলফিতে ফুটে উঠছে সূর্যমুখী ফুলের অপার সৌন্দর্য।

এ বিষয়ে সূর্যমুখী ফুলচাষি সামছুল হক জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের দিকনির্দেশনা পরামর্শ ও প্রণোদনা পেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী হই। তারপর তিন শতাংশ জমিতে বীজ বপন করি। আজ আমার মাঠজুড়ে হলুদ রঙে হাসছে সূর্যমুখী ফুল।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বে সূর্যমুখী তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের অনেক এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় উপজেলাই একশ পঞ্চাশ জন কৃষককে প্রণোদনার আওতায় এনে সার ও বীজ বিতরণের মাধ্যমে এ বছরে হাইব্রিড জাতের মোট ২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে সূর্যমুখী ফুল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা।

সূর্যমুখী ফুলের গাছ লম্বায় প্রায় ৩ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং ফুলের ব্যাস ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। এ ফুল দেখতে সূর্যের মতো হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে সূর্যমুখী ফুল। রবি মৌসুমের এ ফসল এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় কর্তন করার উপযুক্ত সময়। প্রণোদনা পেয়ে উপকারভোগী কৃষকরা জানান, আগামীতেও কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেলে আরও বেশি করে সূর্যমুখী ফুল চাষে এলাকার মানুষ উদ্বুদ্ধ হবেন।

বাজারে বিক্রয় হওয়া সূর্যমুখী তেলের চাইতে আমাদের চাষ করা সূর্যমুখী তেলের গুণগত মান শত ভাগ ভালো। উপজেলার ফসলি মাটি চাষাবাদে উপযুক্ত হওয়ায় আগামীতে বড় পরিসরে সূর্যমুখী ফুল চাষে কৃষককে পরামর্শ প্রদানের লক্ষে কাজ করবেন বলে জানান কৃষি অফিসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তারা।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সূর্যমুখী ফুল,ধামইরহাট,ক্ষেত
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close