তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
তাড়াশের নওগাঁ হাটে মানা হচ্ছে না লকডাউন
সরকারের কঠোর সিদ্ধান্ত চলতি এক সপ্তাহ সারাদেশ ব্যাপি লকডাউন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। হলেও মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্য বিধি, কিন্ত সরকারি সেই সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ হাট চলছে।
জানা যায়, উপজেলার নওগাঁ হাট বসে প্রতি বৃহস্পতিবার। দূর-দূরান্ত থেকে নানা ধরনের পণ্য নিয়ে হাজির হন বিক্রেতারা। সারা দিন চলে বেচাকেনা। সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার বসেছে হাট। সেখানে নেই কোনো স্বাস্থ্যবিধির বালাই। সপ্তাহের এক দিন বসা ‘সাপ্তাহিক হাট’ প্রয়োজনীয় সব ধরনের জিনিসই পাওয়া যায়। শাকসবজি থেকে শুরু করে ঘরের আসবাব, কাচের জিনিস, হাঁড়ি-পাতিল, বিছানার চাদর, নারীদের জামা-কাপড় সবই পাওয়া যায় এখানে।
বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম বিশাল এলাকা। সেখানে একে অপরের গা ঘেঁষে চলছে। কারো মুখে মাস্ক থাকলেও অধিকাংশই তা ব্যবহার করছেন না।। মানা হচ্ছে কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি। করিমন, নসিমন, পিকআপসহ নানা ধরনের গাড়ি করে আসছে ক্রেতা-বিক্রেতারা।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ খন্দকার বলেন, সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে চলছে হাট। প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই। দ্রুত করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হাট বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানান তিনি।
নওগাঁ হাট কমিটির সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই বলেন, হাট পরিচালনা করছেন স্থানীয় এমপির ভাই এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম। মূলত আমরা তার প্রতিনিধি হিসেবে আছি। তাকেই বলেন?
এ বিষয়ে এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের মধ্যে হাট চলবে কি চলবে না। তা দেখবে প্রশাসন। কারণ প্রশাসন তো আমাদের হাট বন্ধ রাখতে নিষেধ করেন নি। আর এ নিয়ে নিউজ করার কী আছে?
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেজবাউল করিম বলেন, লকডাউনের মধ্যে হাটে লোকজন আসার কথা নয়, তারপরেও বিষয়টা আমি দেখছি।
পিডিএসও/এমএইউ