শিবচরে বাজিতে লডু খেলা নিয়ে সংঘর্ষ ইলিয়াছ ঢালী (৪০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তিনি মারা যান। পরে শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

নিহত ইলিয়াছ ঢালী শিবচর উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের ডিক্রিরচর এলাকার মৃত ইউনুছ ঢালীর ছেলে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে ইলিয়াছ ও তার পাশ্ববর্তী বংসের জলীল মোল্লার ছেলে শাহিনের সাথে এনার্জি ড্রিংক (স্পীড) বাজিতে মোবাইল ফোনে লুডু খেলেন। এসময় খেলায় ইলিয়াছ জয়লাভ করেন। এছাড়া ইলিয়াছ শাহিনের নিকট পূর্বের ছয়শ টাকা পাওনা ছিল। পরে ইলিয়াছ পাওনা টাকা ও বাজিকৃত স্পীড চাইলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাহিন ও তার লোকজন সন্ধ্যার দিকে দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও চাইনিজ কুড়াল এনে ইলিয়াছকে বেদম প্রহার করে। সন্ধার পরে ইলিয়াছের বাড়ির লোকজন জড়ো হয়ে শাহিনের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের মজিবর মোল্লা (৪৫), রুবেল মোল্লা (৩৫), ইলিয়াছ ঢালী (৪০), মজিবর ঢালী (৩০), মর্জিনা (২২)-সহ ৭/৮ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে রুবেল মোল্লার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল, ফরিদপুরে পাঠানো হয়।

পরে রাতে হাসপাতালে দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দিলে ইলিয়াছ ও তার লোকজন চিকিৎসার উদ্দেশ্য অন্যত্র চলে যায়। এরপর রাত ৩টার দিকে মৃত্যু হয় ইলিয়াছ ঢালীর।

নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, আমার স্বামীকে ওরা মেরে ফেলেছে। আমি ওদের ফাঁসি চাই।

নিহতের মা পানু বিবি বলেন, আমার ছেলেকে ওরা দশ বারজন মিলে বুকে আঘাত করছে। গোরস্থানের সাথে ঠেকিয়ে সাবল দিয় আঘাত করে মেরে ফেলছে। আমি ওদের বিচার চাই।

অপরদিকে, রুবেল মোল্লার পক্ষে রাতেই নিহত ইলিয়াছ সহ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

শিবচর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিরাজ হোসেন বলেন, গত রাতে এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তবে মৃত্যুর ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পিডিএসও/এমএইউ