পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কর্মকর্তার নির্ধারিত ঘুষ না দিলে কারণে-অকারণে শিক্ষকদের হয়রানি করাই তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিক প্রধান শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালাইয়া হায়াতুন্নেচ্ছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন কম্পিউটার অপারেটর ও একজন নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের জন্য গত ১২ মার্চ-২০২১ তারিখ নিয়োগ বোর্ড গঠিত হয়। নিয়োগ বোর্ডে শিক্ষা মন্ত্রাণলয়ের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক, মহাপরিচালক মাউশি এর প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন পটুয়াখালী জুবিলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মো. রুহুল আমিন, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রসিদ ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি একেএম ফরিদ উদ্দিন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রসিদ সাংবাদিকদের কাছে বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক নিয়োগপ্রতি দশ হাজার করে টাকা দাবি করলে মোট ২০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হন। কয়েকদিন বাদে উত্তীর্ণদের কাগজপত্র মহাপরিচালক মাউশি এর দপ্তরে পাঠানোর জন্য তিনি (শিক্ষা কর্মকর্তা) আবারো জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা দাবি করেন।

প্রধান শিক্ষক হারুনুর রসিদ আক্ষেপ করে বলেন, এ রকম মানসিকতার কর্মকর্তা কখনো দেখিনি। আমরা তো আরো কর্মকর্তার অধীনে কাজ করেছি। তিনি টাকা ছাড়া কিছুই বুঝেন না।

বিষয়টি নিয়ে একাধিক প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলাপ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সবাই ওই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ-বাণিজ্যের কথা স্বীকার করেন। তারা বলেন, অত্যন্ত চতুর প্রকৃতির মিষ্টভাষী ওই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে টাকা না দিলে কোনো ফাইলই ছাড় করেন না।

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষ কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, ওনার সঙ্গে তো আমার দেখাই হয়নি। নিয়োগের মূল মালিক হলো স্কুল কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। উনারা কোন লোকের সাথে কী করেন এর দায়ভার আমাদের নয়। এটা সত্যিই দুঃখজনক ঘটনা।

পিডিএসও/এমএইউ