মৃণাল সরকার মিলু (তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ)
তাড়াশে বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্র পেলেন ৩০০ কৃষক
চলতি বোরো মৌসুমে চলনবিল অধ্যুষিত খাদ্যশস্য ভাণ্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৩০০ কৃষক বৈদুত্যিক সেচযন্ত্র পেয়েছেন। এতে করে শত শত কৃষক সাশ্রয়ী মূল্যে প্রায় ৩০ হাজার বিঘা জমিতে সেচ সুবিধা পাওয়ায় তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন ।
শুধু তাই নয় সরকার কৃষকদের সেচযন্ত্র দিতে ট্রান্সফরমার ও সংযোগের সরঞ্জামাদি বিনামূল্যে দিচ্ছেন বলে জানান, সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ এর তাড়াশ জোনাল আফিসের এ জি এম মোঃ রাব্বুল হাসান।
তাড়াশ কৃষি আফিস সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার ৮ ইউনিয়ন ও ১ টি পৌর সভা এলাকায় চলতি বছর প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো আবাদ করা হচ্ছে। যা ডিজেল চালিত সেচযন্ত্র ও বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্রের মাধ্যমে করা হয় ।
এর মধ্যে মুজিব বর্ষে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ অধীনে তাড়াশে ১১২ জন কৃষককে বৈদুত্যিক সেচযন্ত্রের সংযোগ দেওয়া হয়েছে । আর ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে দেওয়া হয়েছে ১৮৮ জন কৃষককে বৈদুত্যিক সেচযন্ত্রের সংযোগ ।
এ দিকে দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দোগাড়ীয়া গ্রামের কৃষক ফরহাদ আলী জানান, ডিজেল চালিত সেচযন্ত্রের চেয়ে বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্রের মাধ্যমে ফসলের আবাদে খরচ অনেক কম। কেননা, একটি বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্রের মাধ্যমে প্রায় ৯০ থেকে ১০০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া যায়। এতে করে কৃষকের খরচ হয় চার মাসে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা।
আর ডিজেল চালিত সেচযন্ত্রে ধান লাগানো থেকে ওঠা পর্যন্ত ১০০ বিঘা জমিতে খরচ হয় ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বলে জানান চৌবাড়িয়া গ্রামের কৃষক রতন সরকার।
এতে করে তাড়াশ উপজেলায় শত শত প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র শ্রেণীর কৃষক বৈদুত্যিক সেচযন্ত্রে সংযোগ পেয়ে মুজিব বর্ষে উপকৃত হয়েছেন এবং সাশ্রয়ী মূল্যে ৩০ হাজার বিঘা জমিতে সেচ সুবিধা পাওয়ায় তারা আর্থিক ভাবে লাভবানও হচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আশরাফ আলী খান বলেন, মুজিব বর্ষে আমরা তাড়াশের কৃষকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আর কার্বণ নিঃস্বরন কমাতে ডিজেল চালিত সেচযন্ত্রকে নিরুৎসাহিত করে বেশী বেশী বৈদুত্যিক সেচযন্ত্রের সংযোগ দিতে কাজ করছি।
পিডিএসও/এমএইউ