সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
ধর্মান্তরিত করে ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে প্রধান শিক্ষক
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিম আহমেদ। করোনাকালীন সময়ে প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলেন এক হিন্দু শিক্ষার্থীর সঙ্গে। অবশেষে শিক্ষক শামিম আহম্মেদ ১৭ বছরের ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ ঘটনায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিয়েছেন শিক্ষার্থীর বাবা।
শিক্ষক শামিম আহমেদ (৪৮) উপজেলার দক্ষিণ হাজিপুর গ্রামের মৃত. আলী হাসানের ছেলে। শিক্ষার্থী প্রেমিকা তনুশ্রী অধিকারী (১৭) নুরনগর গ্রামের সন্যাসী অধিকারীর মেয়ে।
শিক্ষক ও ছাত্রীর বিবাহের এভিডেভিট ও ধর্মান্তরিত হওয়ার এডিভডেভিটের কাগজপত্র দেখে জানা গেছে, তনুশ্রী অধিকারী খুলনায় নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ৭ এপ্রিল হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হন। নিজের নাম ধারণ করেছেন নাফিসা খাতুন। এরপর ৮ এপ্রিল দুই লাখ টাকা দেনমোহরে শামীম আহমেদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
শিক্ষার্থীর বাবা সন্যাসী অধিকারী জানান, করোনাকালে আমার মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে লম্পট শিক্ষক শামীম আহমেদ ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেছেন। এই শামীম আহমেদ একজন লম্পট। এর আগেও বহু মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক করেছে, যা এলাকার মানুষ সবাই জানে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও তার কুকর্মের বিষয় অবগত। আমি থানায় মামলা দিয়েছি। ন্যায় বিচার চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার এসআই দ্বীপ্তেষ কুমার জানান, শিক্ষক শামীম আহমেদ ওই ছাত্রীর বাড়িতে যাতায়াত করত। এই সুবাদে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক হয়ে যায়। এরপর পালিয়ে বিয়ে করেছে দুইজন। ফেসবুকে ছবি দিয়েছে ওই শিক্ষক। মেয়েটি ধর্মান্তরিত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তনুশ্রী অধিকারী নুরনগর আশাতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ত। তবে সদ্য এই বিদ্যালয় থেকে নুরনগরের কাটুনিয়া কলেজে ভর্তি হয়েছে। মেয়েটির বাবা থানায় অপহরণ মামলা দিয়েছেন। মামলা নং ১৬ তারিখ : ০৯.১০.২১। আসামিকে আমরা খুঁজছি।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, এটি প্রেমঘটিত বিষয়। প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে ফুসলিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়েছে ওই প্রধান শিক্ষক। এটি নৈতিকতার অবক্ষয় বলে আমি মনে করি। আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার ও প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
পিডিএসও/এমএইউ