মোহাম্মদ হাসানের বয়স ৪৮ বছর, পিতা মৃত আনজু মিয়া, বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের হাজির পাড়া এলাকায়। তার রয়েছে ছোট্ট ভাঙা একটি কুড়েঘর।

বিগত ২৫ বছর ধরে তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। চলাফেরা করতে পারেন না। কোন সন্তান নেই বলে তাকে দেখাশুনা করার জন্য একমাত্র ছোট বোন নুরুজ্জাহান বেগম তার এক ছেলে নিয়ে এখানেই বসবাস করেন।

শারীরিক প্রতিবন্ধী হাসানের ভিটেমাটিতে জরাজীর্ণ একটি বাড়ি ছাড়া আর কিছু নেই বললেই চলে। অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে জরাজীর্ণ বাড়িটি। এ নিয়ে দুঃচিন্তায় ঘুমাতে পারেন না। অনেক সময় ভাঙা ঘরের সামনে উঠানে ঘুমিয়ে পড়েন। সামনে ঝড়-বৃষ্টির দিনে আতঙ্ক আরো বেড়ে যাবে তার।

হাসানের ছোট বোন নুরুজ্জাহান বেগম জানান, আমার ভাইয়ের ছোট্ট ভাঙা কুড়েঘর ছাড়া আর কোন সহায় সম্বল নেই। সে শারিরীক প্রতিবন্ধি। তাকে দেখাশোনা করতে অনেক কষ্ট হয়। তার ভাই চলাফেরা করতে পারেনা। বৃষ্টি হলে আমাদের কষ্ট বেড়ে যায়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী নেত্রী, মানবতার মা শেখ হাসিনা যদি আমাদেরকে একটি ঘর করে দেন অনেক উপকৃত হবো ।

চুনতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলম পল্টু জানান, মোহাম্মদ হাসান অনেক বেশি অসহায়। শারীরিক প্রতিবন্ধী বলে চলাফেরা করতে পারেনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার জন্য একটি ঘর বরাদ্দ হলে তিনি এবং তার বোন অনেক উপকৃত হবেন।

চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জনু কোম্পানী জানান, কয়েকদিন আগে হাজির পাড়া একটি শালিশী বৈঠকে আসি। তখন বিষয়টি আমার নজরে পড়ে। আমি হাসানকে ভাঙা কুড়েঘরের বাইরে উঠানে শুয়া অবস্হায় দেখতে পাই। কারণ সে শারিরীক প্রতিবন্ধি। চলাফেরা করতে পারেনা। তার ছোট বোন তার দেখাশোনা করে। সরকারের পক্ষ থেকে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দিলে তারা উপকৃত হবেন।

লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আহসান হাবীব জিতু জানান, বিষয়টি আমাকে চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান অবহিত করেছেন। তার সম্পর্কে জেনেছি। বাড়ির জন্য আবেদন করলে তদন্ত সাপেক্ষে বাড়ি নির্মাণের জন্য যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

পিডিএসও/এসএম শামীম