লালমনিরহাট প্রতিনিধি

  ০৭ এপ্রিল, ২০২১

বাবার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা-পেনশন তুলতে সৎ মাকে অস্বীকার

বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র আজিজুল ইসলাম। ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মৃত মুক্তিযোদ্ধা বাবার সম্মানী ভাতা ও চাকরির পেনশন তুলতে সৎ মা ও বোনকে অস্বীকার করার অভিযোগ উঠেছে বিমাতা ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেছেন মৃত মুক্তিযোদ্ধা নুরল হকের এক মাত্র মেয়ে নজিমা বেগম।

মৃত মুক্তিযোদ্ধা নুরল হকের বাড়ি হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী গ্রামে। তার ৪ পুত্র হলেন, ফরিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম ও হাফিজুল ইসলাম।

জানা গেছে, মৃত মুক্তিযোদ্ধা নুরল হক ভূমি অফিসের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। তার মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা, চাকরির পেনশনসহ জমিজমার ভাগ-বণ্টন করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওয়ারিশান সনদ গ্রহণ করেন মুক্তিযোদ্ধার পুত্র আজিজুল ইসলাম। তিনি ওই ওয়ারিশান সনদপত্রে তার বিমাতা বোন নজিমা বেগমকে নিজের বোন হিসেবে স্বীকার করলেও সৎ মা মনজিরন নেছাকে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন নজিমা বেগম।

তবে আজিজুল ইসলাম বলেন, নজিমা বেগমের মা মনজিরন নেছাকে আমার বাবা বিয়েই করেননি। তাহলে নজিমাকে নিজের বোন হিসেবে স্বীকার করলেন কী কারণে এমন প্রশ্নের জবাবে আজিজুল ইসলাম বলেন, মানবিক কারণে তাকে বোন হিসেবে স্বীকার করেছি। এ সময় এ ঘটনায় নিউজ না করতে বার বার অনুরোধ করেন আজিজুল ইসলাম।

সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু বলেন, আজিজুল ইসলাম নামে ওই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তাদের পারিবারিক তথ্য গোপন করে আমার কাছে ওয়ারিশান সনদপত্র নিয়েছেন। পরে আমি সংশোধন করে আবারও ওয়ারিশান সনদপত্র দিয়েছি। তবে মৃত মুক্তিযোদ্ধা নুরল হকের দুইজন স্ত্রী ছিলেন বলেও জানান তিনি।

হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পিডিএসও/এমএইউ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
লালমনিরহাট,মুক্তিযোদ্ধা,ভাতা,পেনশন,সৎ মা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close