সাতক্ষীরায় লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ, তোপের মুখে এসিল্যান্ড
সাতক্ষীরায় লকডাউনের প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছে বস্ত্র ব্যবসায়ী দোকানের কর্মচারীরা। মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে শহরের ফাল্গুনী বস্ত্রালয়ের সামনে থেকে এ বিক্ষোভের শুরু হয়। এ সময় তোপের মুখে পড়েন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাতক্ষীরা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান। বিক্ষোভের মুখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে উত্তেজিত কর্মচারীদের শান্ত করেন।
সাতক্ষীরা বস্ত্র ব্যবসায়ী দোকান কর্মচারি সমিতির সভাপতি আবুল হাসান জানান, দোকানপাট বন্ধ রাখলে আমরা খাবো কি? দোকানের মালিকরা আমাদের বেতন দিবে না। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন পাবেন তাদের কোন সমস্যা নেই। আমাদের উপায় কী? আমাদের সংসার রয়েছে। বউ-বাচ্ছা পরিবার রয়েছে সবাই না খেয়ে মরবে। সে কথা কেউ বলে না।
তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই, লকডাউন দেওয়া হোক তবে একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হোক। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা বা যে কোন সময়। সে সময়টুকু বেচাবিক্রির মাধ্যমে যেন আমরা বেতনটুকু বুঝে পায়। কেননা একজন দোকান মালিক জমি বিক্রি করে আমাদের বেতন দিবে না। এই দোকান থেকে বেচাবিক্রি করে আমাদের বেতন দেয়। সেই পথটি করে দেওয়া হোক।
এ সময় সাতক্ষীরার বড়বাজার সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শত শত কর্মচারীরা। পরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে করেন তারা।
শ্রমিকরা বলেন, জরিমানা করতে ফাল্গুনী বস্ত্রালয়ে যান সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান। এসময় কর্মচারিরা চারপাশ থেকে তাকে ঘিরে তাদের দাবির কথা তুলে ধরেন। পরে জরিমানা না করেই ঘটনাস্থল থেকে ফিরে যান তিনি।
উত্তেজিত শ্রমিকরা জানান, আমরা অবৈধ লকডাউন মানি না, মানবো না। পেটের দায়ে দোকানে কাজ করি। সেই দোকানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা খাবো কী?
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দীন বলেন, দোকানের কর্মচারিরা বিক্ষোভ করছে। আপনি যেটা দেখছেন আমিও সেটাই দেখেছি। তবে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছি। বিষয়টি ডিসি স্যার ও এসিল্যান্ড স্যারের কাছ থেকে জানেন।
ঘটনার বিষয়ে সাতক্ষীরা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামানের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।
পিডিএসও/এমএইউ