ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

  ০৬ এপ্রিল, ২০২১

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শিক্ষার্থীর মা-বোনকে কুপিয়ে জখম

আটক শিক্ষক সানোয়ার। ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক সানোয়ার হোসেন কর্তৃক প্রাইভেট ছাত্রের মা (৪২) ও বোনকে (২২) কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেছেন আহত মহিলার স্বামী।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক সানোয়ার হোসেন (৩৫) ভেড়ামারা পৌরশহরের নওদাপাড়া এলাকায় দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাসায় গিয়ে নিয়মিত প্রাইভেট পড়াতেন। একপর্যায়ে তিনি ঐ ছাত্রের মাকে অনৈতিক কাজের জন্য কু প্রস্তাব দেন। গত সোমবার বেলা ৩টার দিকে আবার ঐ বাড়িতে গেলে এ নিয়ে সানোয়ারের সাথে ঐ গৃহবধূর কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে প্রভাষক সানোয়ার রান্নাঘর থেকে বটি নিয়ে ছাত্রের মাকে মাথায় ও পেটে আঘাত করেন। মহিলার অনার্স পড়ুয়া মেয়ে এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত করে রক্তান্ত জখম করে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তাদের ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে প্রভাষক সানোয়ারকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেয়। থানা পুলিশের এস আই প্রকাশ রায় ঘটনাস্থলে এসে প্রভাষক সানোয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

দুই সন্তানের জনক প্রভাষক সানোয়ার হোসেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওদা বহলবাড়িয়া গ্রামের মোঃ ইদবার আলীর ছেলে। তিনিও ভেড়ামারার নওদাপাড়ায় সস্ত্রীক ভাড়া থাকতেন। মুমূর্ষু অবস্থায় গৃহবধুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ও তার মেয়েকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ডাক্তাররা মহিলার শরীরে ৬২টি সেলাই দিয়েছেন বলে তার স্বামী জানান।

রাতেই ওই গৃহবধূর ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী বাদী হয়ে সানোয়ার হোসেনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০১। ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহ্জালাল জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ গিয়ে প্রভাষক সানোয়ারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ভিকটিমদের পক্ষ থেকে সানোয়ার হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এদিকে সরেজমিনে এলাকাবাসী জানান, ঐ শিক্ষকের সাথে ঐ গৃহবধূর সম্পর্ক ছিল। শিক্ষকের স্ত্রী প্রতিবাদ করলে তাকে অত্যাচার ও মারধর করতেন। ইতিপূর্বেও এনিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাঁদের সতর্ক করা হয়েছিল, কিন্তু তাঁরা শুনতেন না।

ভেড়ামারার স্বনামধন্য একটি কলেজের একজন শিক্ষক হয়ে এহেন জঘন্য কাজের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

পিডিএসও/এমএইউ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুষ্টিয়া,কলেজশিক্ষক,কুপ্রস্তাব
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close