আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আমতলীকে অচল করে দেয়ার হুমকি দিলেন পৌর মেয়র
বরগুনার আমতলীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মৃধাকে সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী কর্তৃক লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে লাঞ্ছিতকারী, সন্ত্রাসী, মাদকসেবীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে মুক্তিযোদ্ধারা।
বুধবার দুপুর ১২টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম সামসুদ্দিন শানুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান। বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম মৃধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী দেলোয়ার হোসেন, আঃ মালেক শাহানুর মিয়া, আবুল হাসেম মাস্টার, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভা শেষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সের সামনে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতিতে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ মানববন্ধনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান তার বক্তব্যে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতকারী, সন্ত্রাসী, মাদকসেবী ও তাদের গডফাদারদের গ্রেপ্তার না করা হলে আমতলীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অচল করে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমাবার সন্ধ্যার পূর্বে আমতলী থানা গেটের সামনে বসে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মৃধাকে লাঞ্ছিত করে সন্ত্রাসী ফাহাদ ও তার সাথে থাকা লোকজন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মৃধার ছোট ভাই উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা ও ছাত্রলীগের কর্মীরা এর প্রতিবাদ করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী ফাহাদ ও তার সাথে থাকা লোকজন ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর হামলা করলে দুই পক্ষের ৪ জন আহত হয়। সংবাদ পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আমতলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।