মো. মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোলে কাঁকড়া খাওয়া বৃদ্ধা পেলো ‘শান্তি নিবাস’
উঠেছে জেগে মানবতার ঝুলি। জাগ্রত হয়েছে আজ-তাইতো সবাই মানুষ মানুষের জন্য এটাই হোক আমাদের মুখের বুলি। সেই লক্ষ্যে যশোরের বেনাপোলে দীর্ঘ ৮ মাস খোলা আকাশের নিচে বসবাস ও কাঁকড়া- শালুক ফল খেয়ে বেঁচে থাকা কবিতা নামের সেই বৃদ্ধা মায়ের জন্য একচালা টিনের ছাউনি বিশিষ্ট শান্তি নিবাস গড়ে দিলেন দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান। ঘরটির নাম দিলেন ‘মা কবিতা শান্তি নিবাস’।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল বাইপাস সড়কের পাশেই জমিদাতা আব্দুল্লাহ মোল্লা স্বপনসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ একত্রিত হয়ে ফিতা কাটার মধ্যে দিয়ে শান্তি নিবাসের শুভ উদ্বোধন করেন।
এর আগে কবিতাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় কাঁকড়া খাওয়ার সংবাদ প্রকাশ হলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে বেনাপোলসহ গোটা শার্শা এলাকা জুড়ে।
এরপরই ওই বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ান মানবতার ফেরিওয়ালা দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান।
প্রবাসীদের সহযোগিতায় তিনি করে দিলেন ‘মা কবিতা শান্তি নিবাস’ নামে একটি বসতবাড়ি। তিন দিন ধরে বাঁশ খুটি টিন দিয়ে গড়ে তোলা ঘরটি এখন একটি দৃষ্টান্ত।
শুধু তাই নয়। এই কাঁকড়া খাওয়া মায়ের নিরাপদ পানির জন্য টিউবওয়েল এবং টয়লেটেরও ব্যবস্থা করেছেন তিনি। নতুন ঘরের জন্য লেপ, কম্বল, বালিশ নিয়ে কবিতার পাশে দাঁড়ালেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন। সেই সাথে প্রতিদিন খাবারের ব্যবস্থা করছেন তারা।
এ সময় দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান বলেন, মানবসেবা বড় সেবা। পৃথিবীতে কেউ কিছু নিয়ে আসেনি আর নিয়েও যাবেনা। তাই আসুন আমাদের সমাজে যারা অসহায়-অবহেলিত আছে তাদের পাশে এসে দাঁড়াই এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই।
এই মহতী উদ্যোগে আর্থিক সহযোগিতা যারা করেছেন- বিশেষ করে ফুড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা প্রবাসী শাহপরান, ঝিকরগাছা ব্লাড ব্যাংক ফাউন্ডেশন, তরুণ সমাজ সেবক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলমগীর, বাংলাদেশ পুলিশ সদস্য সোহাগ হোসেন।
পিডিএসও/ জিজাক