'পঙ্খিরাজ' ঘোড়ায় চড়ে বর, কনে গেলেন পালকি চড়ে
বর এলেন 'পঙ্খিরাজ' ঘোড়ায় চড়ে। আর চার বেহারার পালকি চড়ে কনে গেলেন শ্বশুরবাড়ি।
এমন রাজসিক বিয়ের ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামে।
শত বছরের হারিয়ে যাওয়া এমন ঐতিহ্য ধারণ করে বিয়ের আয়োজন দেখতে শুক্রবার শত-শত উৎসুক নারী-পুরুষের ঢল নেমেছিল চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের কোদালিয়া এবং মাইজহাটি গ্রামে।
বর আশরাফুল আনোয়ার রোজেন যুক্তরাজ্যের আর্টিকেল নাইনটিন নামে মানবাধিকার সংগঠনে কর্মরত। তিনি চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। শুক্রবার দুপুরে সুসজ্জিত ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে যান একই ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রামে।
বধূ মাইজহাটি গ্রামের প্রফেসর ড. ফরিদ আহমেদ সোবহানীর মেয়ে ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী নাবিলা সোবহানী। তিনি শ্বশুরবাড়ি এলেন চার বেহারার পালকি চড়ে স্বামীর ঘোড়ার পেছনে পেছনে। এমন অসাধারণ দৃশ্য দেখতে প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পথ জুড়েও ছিল উৎসুক নারী-পুরুষের ঢল।
এমন বিয়ের আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে বর আশরাফুল আনোয়ার রোজেন বলেন, আগেকার দিনের বিয়ের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং নিজের শখ থেকে বিয়ের এমন আয়োজন করেছি।
বধূ নাবিলা সোবহানী জানান, ছোটবেলা থেকেই তার পালকিতে চড়ার ইচ্ছা ছিল। সেই ইচ্ছে আজ পূর্ণ হলো।