মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

  ২২ জানুয়ারি, ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাস উৎপাদন অব্যাহত রাখার চেষ্টা

পুরোনা কূপে ওয়াকওভার ব্যাহত

জ্বালানী সম্পদ গ্যাস। ব্রাহ্মনবাড়িয়ার মাটির তলদেশে রয়েছে প্রচুর এ গ্যাস ভাণ্ডার। কয়েক যুগ ধরে বিরামহীনভাবে গ্যাস উত্তোলনে এখন দ্রুত ফুরিয়ে আসছে এই প্রাকৃতিক গ্যাস।

ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডের অধীনস্থ গ্যাস ক্ষেত্রের কয়েকটি কূপ বন্ধ রয়েছে। কয়েকটির উৎপাদন কমছে, করছে উঠা-নামা। সে সাথে মাত্রাতিরিক্ত পনি উঠছে।

গ্যাস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব আলামত এ সেক্টরের জন্য শুভ নয়। এসবই জানান দিচ্ছে মজুদ ফুরানের কথা। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে খনি থেকে গ্যাসের উৎপাদনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্ঠা চলছে। তারপর ও তেমন কাজ হচ্ছে না। উৎপাদনের ধারাবাহিকা ধরে রাখতে সংশ্লিষ্টদের যারপরনাই চেষ্টা-প্রচেষ্টার তেমন ফল মিলছে না। এ নিয়ে উদ্ধিগ্ন খোদ গ্যাস সেক্টরের সঙ্গে জড়িতরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত বছর তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ১৩ ও ৭ নং গ্যাস কূপের ওয়াক ওভার কাজ শুরু হয়। ১৩ নং কূপ থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় পানি আসায় ও ৭ নং কূপের উৎপাদন কমে যাওয়ায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়। বাপেক্স (বাংলাদেশ এক্সপ্রোরাল কর্পোরেশন) এর ওয়াক ওভার কাজ করছে।

সূত্র বলছে, এ দু’টি গ্যাস ক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪০ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস উৎপাদন হতো। উৎপাদন ধরে রাখতে ও বৃদ্ধির জন্য ওয়াক ওভার কাজ শুরু হয়। বহু পুরোনো কূপগুলোতে ওয়াক ওভার করতে গিয়ে মিলছে শুধু সমস্যা আর সমস্যা। টিউবিং নষ্ট হয়ে গেছে, মরিচা ধরে গেছে পাইপে। টেনে উঠানো যাচ্ছে সেই পুরাতন পাইপ। ছিঁড়ে ছিঁড়ে যাচ্ছে এ পাইপগুলো। এতে ওয়াক ওভার কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যহত হয়। তার পর ও কাজ চলছে।

অন্যদিকে ৭ নং কূপের কাজে চলছে অচলাবস্থা। প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকে ওয়াকওভার কাজ। পূনরায় আবার কাজ শুরু হয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বলছে, অল্প সময়ের মধ্যেই এর ওয়াকওভার কাজ শেষ হবে। পাইপ গুলো অল্প অল্প করে উঠাতে হচ্ছে। প্রায় সময়ই ছিঁড়ে যাওয়ার পর দীর্ঘ সময় ব্যয় হয় পাইপ উঠাতে।

এদিকে তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের অবস্থা দিনদিন খারাপ হচ্ছে, বাড়ছে পানির পরিমান। তিতাসের ১৩, ২২, ৭ নং কুপে না ত্রুটি নানা দেখা দিয়েছে। ১৩ ও ২২ নং কুপে বাড়ছে পানির পরিমান। বর্তমানে তিতাসের গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গড়ে ৫শ ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়।

আর (বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড) বিজিএিফসিএল থেকে ৮২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। গ্যাস ডেভলাপমেন্ট ফান্ড এর অর্থ দিয়ে বাপেক্স কুপ গুলোর ওয়াকওভার করছে। এরই মধ্যে ৫টি কুপের ওয়াকওভার কাজ শেষ হয়েছে। এসব কুপ থেকে বাড়তি ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হচেছ। বাকি গুলোর কাজ চলমান বলে জানিয়েছেন একজন কর্মকর্তা।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া,গ্যাস উৎপাদন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close