যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের এবার ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। ১৫ জানুয়ারির পর থেকে যারা যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসবেন, তারা চার দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন পালন করবেন। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে পাঠানো এক পত্রে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চার দিন কোয়ারেন্টাইন পালন শেষে তাদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এতে ফলাফল নেগেটিভ এলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন থেকে ১০ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হবে। আর ফলাফল পজিটিভ এলে সরকার নির্ধারিত আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হবে। খরচ যাত্রীদের বহন করতে হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মণ্ডল। তিনি বলেন, ১৫ জানুয়ারির পর থেকে যারা যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরবেন, তাদের ক্ষেত্রে এমন নির্দেশনার আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেভাবেই পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালকের স্বাক্ষর করা এক নির্দেশনাপত্র বৃহস্পতিবার সিলেটে এসে পৌঁছায়। ওই নির্দেশনাপত্রে যুক্তরাজ্য থেকে আসা সব যাত্রীকে সরকার নির্ধারিত হোটেলে চার দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। আগে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন ছিল ১৪ দিনের।

বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন পালনকালে সব খরচ যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীরা বহন করবেন। সরকার নির্ধারিত হোটেলগুলোয় কোয়ারেন্টাইন পালনে যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীরা অপারগতা প্রকাশ করলে সরকারিভাবে নির্মিত ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে হাসপাতালের যাবতীয় খরচ যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের বহন করতে হবে।

জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন (স্ট্রেইন) সংক্রমণের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দেশটির সঙ্গে ভ্রমণ–নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ–নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি।

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরন (স্ট্রেইন) সংক্রমণ বৃদ্ধির পর বাংলাদেশ ভ্রমণ–নিষেধাজ্ঞা জারি না করলেও ১ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যফেরত সব যাত্রীকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনায় এখন কিছুটা পরিবর্তন এল।