বিশেষ প্রতিবেদক, রাজশাহী

  ১৩ জানুয়ারি, ২০২১

মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে ২ নৈশপ্রহরী

আগামী ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে রাজশাহীর দুই এলাকায় মেয়র প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন দুই নৈশপ্রহরী। তারা ভোটের মাঠে রয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে। এদের মধ্যে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় ‘নারিকেল গাছ’ প্রতীক পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কামাল হোসেন ও তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌরসভায় ‘জগ’ নিয়ে ভোটের মাঠে লড়ছেন সাইদুর রহমান। আর এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ইতোপূর্বেই নৈশপ্রহরীর চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কামাল হোসেন। তবে সাইদুর রহমান চাকরি থেকে ইস্তফা না দিলেও ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে জয়লাভের লক্ষ্যে ভোটের মাঠে লড়ছেন।

জানা গেছে, মুণ্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন সাইদুর রহমান। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট করছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীতার ক্ষেত্রে দল থেকে বহিস্কারের আদেশ আসার পূর্বেই তিনি পদত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে।

বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা অবস্থায় জানা গেছে, যে কোন মুহূর্তে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিবেন। আর মুণ্ডুমালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের নৈশ্যপ্রহরীর চাকরি এ মুহূর্তে না ছাড়লেও গত ৬ জানুয়ারি থেকে তিনি ১৫ দিনের ছুটিতে রয়েছেন।

আর বাগমারার ভবানীগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ্যপ্রহরীর চাকরি ছাড়তে গত ১৫ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কামাল হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করলেও তাকে জয়লাভ করাতে দলীয় কিছু নেতাকর্মীরা প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন। ছাত্রজীবনে কামাল হোসেন ছাত্রলীগ করতেন। পরে ২০১৩ সালে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী পদে চাকুরিতে যোগ দেয়ার পর রাজনীতিতে নিষ্কৃয় হন।

কামাল হোসেনের প্রার্থিতা নিয়ে ভবানীগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা খানম কোন মন্তব্য না করলেও তার ইস্তফা পত্রের বিষয়টি বুধবার নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে প্রার্থী কামাল হোসেন বলেন, গত ২০০৫ সাল থেকে আমি ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তখন থেকেই মানুষের বিপদে-আপদে পাশে রয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হবো ইনশা-আল্লাহ।

এদিকে মুণ্ডুমালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম বুধবার সন্ধ্যায় জানান, গত ৫ জানুয়ারি রাত পর্যন্ত সাইদুর রহমান দায়িত্ব পালন করে ৬ জানুয়ারি থেকে ১৫ দিনের ছুটিতে রয়েছেন। তিনি মেয়র পদে নির্বাচন করছেন।

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিজয়ী হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে প্রার্থী সাইদুর রহমান জানান, আর আমার পদত্যাগপত্র প্রস্তুত রয়েছে। আজকের মধ্যেই পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে পৌঁছে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় মোট চারজন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে কামাল হোসেন ছাড়াও অন্য প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের আবদুল মালেক, বিএনপির আবদুর রাজ্জাক প্রামানিক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম মামুনুর রশীদ।

আর ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে মুণ্ডুমালা পৌরসভায় মোট মেয়র প্রার্থী তিনজন। এদের মধ্যে সাইদুর রহমান ছাড়া অন্য দুইজন হলেন- আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমিন ও বিএনপির ফিরোজ কবীর।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মেয়র পদে,রাজশাহী,নৈশপ্রহরী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close