​জাহাঙ্গীর হোসেন, পটুয়াখালী

  ১৮ অক্টোবর, ২০২০

বাঁধ অপসারণ

পটুয়াখালীতে হচ্ছে নান্দনিক ব্রিজ

এক পশলা বৃষ্টিতেই পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জলাবদ্ধার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে শহরবাসীর ভোগান্তির আর শেষ থাকে না। এর কারণ হিসেবে শহরের সরু ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং অপরিকল্পিতভাবে খালে বাঁধ দেওয়াকেই দুষছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে জেলা শহরের কয়েকটি খালের বাঁধ অপসারণ করে সেসব স্থানে ব্রিজ নির্মাণ করে খালগুলোকে প্রবাহমান করার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সমস্যার অনেকটা সমাধান মিলবে বলে মনে করে পৌর কর্তৃপক্ষ।

ধান, নদী আর খালের জন্য বিখ্যাত পটুয়াখালী অঞ্চলের খালগুলো এখন আর প্রবাহমান নেই। গত কয়েক দশকে পটুয়াখালীর অধিকাংশ খালগুলোতে অপরিকিল্পতভাবে বাঁধ দেওয়া, সুইচ গেট নির্মাণ কিংবা সরু কালভার্ট করায় এসব খাল তার যৌবন হারিয়েছে। ফলে এখন একটু বৃষ্টিতেই শহরের বিভিন্ন সড়কে হাঁট সমান পানি জমা হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণ করতে প্রয়োজন দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা এবং সমন্বিত উন্নয়ন।

পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, পটুয়াখালী শহরের টিকে থাকা খালগুলোকে পুনরুদ্ধার এবং সেগুলোকে আবার ও তার স্বাভাবিক প্রবাহে ফেরাতে খালের বাঁধ অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। এর মাধ্যমে পটুয়াখালী শহরে মহিলা আনসার ক্যাম্প থেকে শুরু হয়ে মাদবর বাড়ি পর্যন্ত বদ্ধ খালের দুটি পয়েন্টে বাঁধ অপসারণ করে সেসব স্থানে দুটি দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বহালগাছিয়া খালের উপজেলার বাঁধ এবং গরুর বাঁধ অপসারণ করে হাতিরঝিলের আদলে দুটি দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ করা হবে। ফলে খালগুলো আবার ও প্রবাহমান হওয়ার পাশাপাশি এসব এলাকায় বিনোদন স্পট তৈরি হবে বলে মনে করেন পটুয়াখালী পৌর মেয়র।

সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ সোহেল বলেন, পটুয়াখালী জেলা শহরের সাথে আশপাশের ইউনিয়নগুলোকে সংযুক্ত করতে ও বিভিন্ন স্থানে বাঁধ অপসারণের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ আয়রন ব্রিজ অপসারণ করে সেসব স্থানে ৯টি ব্রিজ আধুনিক মানের ব্রীজ নির্মাণ করা হচ্ছে। আর যথাযথ মান নিশ্চিত করে নির্ধারিত সময়ে এসব কাজ সম্পন্ন করার দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।

এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক আবদুল হাই বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শতবর্ষ পরিকল্পনা অনুযায়ী খাল ও নদীকে আবারও তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে দিতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আর ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এসব ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।

এক সময়ে পটুয়াখালী শহরের অভ্যন্তরে অন্তত ২৩টি খাল প্রবাহমান ছিল। যার অধিকাংশই এখন সরু ড্রেনে পরিণত হয়েছে। তবে পর্যায়ক্রমে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ের মাধ্যমে এসব খাল পুনরুদ্ধারের দাবি জেলাবাসীর।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পটুয়াখালী,ব্রিজ,বাঁধ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close