মৃণাল সরকার মিলু, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)

  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

তাড়াশে হাট-বাজারের বেহাল দশা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ছোট বড় মিলে প্রায় ৩০টি হাট- বাজার রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্ত হাট-বাজার সংস্কার না করায় বর্ষা মৌসুমে জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে ২/১ দিন বৃষ্ঠি হলেই উপজেলা সদর বাজার ও বড় হাট গুলোর বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ণ জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্ঠি হওয়ায় চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা এসব পথে যাতায়াত করে দুর্ভোগের শিকার হলেও সমস্যা দুরীকরণের নেই কোন উদ্যোগ। সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে, তাড়াশ সদর, নওগা, মাগুড়া, সগুনা, বারুহাস, তালম, দেশীগ্রাম ও মাধাইনগর ইউনিয়নে প্রায় ৩০টি হাট-বাজার রয়েছে। অধিকাংশ হাট-বাজার গুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিউবয়েল, ল্যাটিন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতা ও জনসাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বিশেষ করে তাড়াশ সদর বাজারে ল্যাটিন, টিউবয়েলের সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। কোন মহিলা বাজারে এসে ল্যাটিন ব্যবহারের প্রয়োজন হলে কোন বাসা বাড়িতে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকেনা। উপজেলার সবচাইতে বড় হাট নওগা, বিনসাড়া, গুল্টা, কাটা গাড়ী, মাঝদক্ষিনা, মাধাই নগর, বারুহাস, বোয়ালিয়া, মান্নাননগর, মহিশলুটি, নাদোসৈয়দপুর, ধামাইচ ও কুন্দুইল।

যেখান থেকে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকে। অথচ ওই সমস্ত হাট-বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা ও নাগরিকদের নেই নুন্যতম নাগরিক সুবিধা। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা পানিতে একাকার হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্ঠি হয়। উপজেলা সদর বাজার ও নওগা হাটে কয়েকটি স্থানে ড্রেন ও নালা থাকলেও দির্ঘদিন ধরে ময়লা-আর্বজনা পড়ে সর্ম্পুণ রুপে বন্ধ ও অকেজো হয়ে পড়েছে।

ফলে শুস্ক মৌসুমে কোন মতে ব্যবসা-বাণিজ্য করা সম্ভব হলেও বর্ষা মৌসুমে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পড়তে হয় চরম বিপাকে। কাদা পানিতে একাকার হয়ে হাট-বাজার করতে হয় তাদের।

দির্ঘদিন ধরে জমে থাকা ময়লা-আর্বজনা ও পচা পানির দুুর্গন্ধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্ঠি হয়েছে। এ ছাড়াও হাট-বাজার গুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকায় যত্রতত্র মলমুত্র ত্যাগের ফলে চরম দুর্গন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে। তার পরও ইজারাদারদের বিরুদ্ধে রয়েছে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিস্তর অভিযোগ।

এছাড়াও রাস্তার ধারে অ-পরিকল্পিত ও অবৈধভাবে দোকান পাট গড়ে উঠায় কমে গেছে রাস্তার পরিধি। হাটের দিন কোন যানবাহন হাটে ঢুকলে দুর্ভোগের সীমা থাকেনা। চলাচলে মারাত্বক দুর্ভোগ পোহাতে হয় হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের। হাট-বাজারের এসব সমস্যা সমাধানে ইজারাদার ও হাট সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিগণ বরাবরই উদাসিন। এসব সমস্যা দুরীকরণে এলাকাবাসী জরুরি উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
তাড়াশ,হাট-বাজার,বেহাল দশা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close