আল-আমিন মিয়া, পলাশ (নরসিংদী)

  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

প্রতিদিনের সংবাদে খবর প্রকাশের পর

পলাশে অবৈধ বালুর আড়তে প্রশাসনের হানা

জরিমানা ৫০ হাজার টাকা

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত দুটি রেল সেতুর পাড় দখল করে মনির হোসেন মোল্লা নামে এক স্থানীয় যুবলীগ নেতা অবৈধভাবে গড়ে তুলেছেন বালু আড়ত। নদীর পাড়ে অবস্থিত রেল সেতুর কয়েকটি পিলার জুড়ে বালু জমিয়ে অরহর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ওই যুবলীগ নেতা। এতে করে ঝুঁকিতে পড়েছে রেল সেতু দুটি।

ঘোড়াশাল পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির হোসেন মোল্লা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নদীর তীর ঘেসা রেলের জমিতে অবৈধভাবে বালুর জমজমাট ব্যবসা করে আসছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এসব বালুর আড়ত থেকে কয়েক মিনিট পর পর ট্রলি ও ট্রাক দিয়ে বালু ভরে অন্যত্র বিক্রি করা হচ্ছে।

বালু আনা নেওয়ার সময় এসব ভারি যানবাহনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে রেল সেতুর একাধিক পিলার। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে বালু ব্যবসা চালিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত রেল সেতু দুটি। এছাড়া ঘোড়াশাল-পলাশ আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে এসব বালু আনা-নেওয়ার কারণে সড়ক জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূলাবালি। বালি উড়ে আশেপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও হচ্ছে অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত।

এ নিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার অনলাইন ও পরদিন প্রিন্টে ‘রেল সেতু হুমকিতে ফেলে বালু ব্যবসা!’ শিরোনামে খবর প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। পরে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা ইয়াসমিন বালুর আড়তের বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলামকে নির্দেশ দেন।

তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। তথ্যটি নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘোড়াশাল রেল সেতুর নিচে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় দখল করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মনির হোসেন মোল্লা অবৈধভাবে বালুর আড়ত দিয়ে ব্যবসা করে আসছিল।

বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা ইয়াসমিন তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব প্রদান করে। আমি প্রাথমিক তদন্তের ঘটনার সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একটি অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু ঘটনাস্থলে মনির মোল্লাকে না পেয়ে তার ম্যানেজার জাকির হোসেনকে আটক করি।

পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা নগদ অর্থদণ্ড আদায় করা হয়। পাশাপাশি আগামী এক সাপ্তাহের মধ্যে অবৈধ বালুর আড়ত অপসারণ করে নেওয়ার জন্য একটি মুচলেকা রাখা হয়।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পলাশ,বালুর আড়ত,প্রশাসন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close