মাসুদ রানা, বরিশাল
চিকিৎসক সংকটে শের-ই বাংলা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট বন্ধ
চিকিৎসক সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ। বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের কোটি মানুষ’র একমাত্র চিকিৎসা ভরসা স্থলে বার্ন ইউনিটটি বন্ধ থাকায় আগুনে পোড়া রোগিদের চিকিৎসা নিতে ঢাকায় যেতে হচ্ছে।
হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিটটি সচল করতে উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তথ্যসূত্রে জানা যায়, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০১৫ সালে “সার্জারি বিভাগের অধীনে বার্ন ইউনিট চালু হওয়ার পর থেকে বন্ধ হওয়া পর্যন্ত কয়েক হাজার আগুনে পোড়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন এখানে।
বর্তমানে ডাক্তার না থাকার কারণে হাসপাতালের ‘সার্জারি ওয়ার্ডে’ আগুনে পোড়া রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ বিভাগের ব্রাদার লিঙ্কন দত্ত বলেন, মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের একমাত্র ও প্রধান চিকিৎসক ছিলেন এমএ আজাদ সজল। তিনি মারা যাওয়ার পর বার্ন ইউনিটের চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সরেজমিনে জানা যায়, বার্ন ইউনিটে ৩০টি বেড থাকলেও রোগী ভর্তি থাকত কমপক্ষে ৪০জন।
নগরীর এক বাসিন্দা ফারজানা ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, চুলায় ভাত রান্না করতে যেয়ে গেল মাসে তার পা পুড়ে গিয়েছিলো। চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা হাসপাতালে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকায় যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে তার দ্রুত সু-চিকিৎসা পেতে বিলম্ব হয়েছে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ও হয়েছে।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে সব ধরনের ব্যবস্থা থাকলেও চিকিৎসক নেই।” চিকিৎসক সঙ্কটের কারনে জোড়াতালি দিয়েই চালাতে হচ্ছে পুরো হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা।” সমাধানের জন্য চিকিৎসক চেয়ে অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা কবে নাগাদ চিকিৎসক দিবেন সে অপেক্ষায় আছি।