রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

  ১৪ আগস্ট, ২০২০

রাজৈর-ভাঙ্গা সীমান্তবর্তীদের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক, অগ্নিসংযোগ

দুই কিশোরের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরের রাজৈর ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার দুই ইউনিয়নবাসীর মধ্যে ৫ ঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহতসহ দোকান ও বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্য ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী মরা কুমার নদ দ্বারা বিভক্ত ঘারুয়া ইউনিয়নের রাজেশ্বরদী গ্রাম ও পাইকপাড়া ইউনিয়নের বৈরাগীর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রাজৈর ও ভাঙ্গা দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী মরা কুমার নদ দ্বারা বিভক্ত ঘারুয়া ইউনিয়নের রাজেশ্বরদী ও পাইকপাড়া ইউনিয়নের বৈরাগীর বাজার এলাকার ব্রীজের উপর কটুক্তি করে কথা বলাকে কেন্দ্র করে দুই এলাকার দুই কিশোর মেহেদী (২০) ও তহিদ (২০) এর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুই ইউনিয়নের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ লিপ্ত হয়। পরে ৫ঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে রাজেশ্বরদী এলাকার দেলোয়ার হাওলাদার ও সাদেক হাওলাদারের একটি দোকান, দুটি বসতঘর ও দুটি রান্নাঘরে অগ্নিসংযোগ করা হলে ৫টি ঘরই ভস্মিভূত হয়।

এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের মধ্যে নওসাদ (২) রহিমা বেগম (২৫) মেরে বেগম (৪০) মফিজুর (১৪) কামাল (৪০) আফজাল (২৮), আলকাজ (৩৫) রাকিবুল (৩৫), আলী (৩৫), আউয়াকেসহ (৩০) অন্যান্যদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছে দুই চেয়ারম্যান ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সফিউদ্দিন মোল্লা ও রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন। তারা আরও জানান, এব্যাপারে আপোষ মিমাংসার কথা হয়েছে।

দুই থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। রাজৈর থানার ওসি শেখ সাদী জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনহত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রাজৈর,ভাঙ্গা,সীমান্তবর্তী এলাকা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close