নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

  ০৮ জুলাই, ২০২০

নারায়ণগঞ্জে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে খুন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাবার নির্যাতন থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে ছেলে। স্ত্রী ও সন্তানকে ছুরিকাঘাত করে নিজের পেটেও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত হয় মাদকাসক্ত হারেস মিয়া (৫৫)। মঙ্গলবার রাত ২ টায় ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকার শাহ আলমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম সোহাগ (১৫)। তার মা মনোয়ারা বেগমের বয়স ৪২ বছর। হারেস মিয়া ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকার শাহ আলমের বাড়িতে স্বপরিবারে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে রিকশা চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করেন। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও ছেলে সোহাগ স্থানীয় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। আর মেয়ে বিথী আক্তার (১২) ভোলাইল সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে হারেস মিয়া প্রায় সময়ই ঝগড়া করতো। এ কারণে মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রাত ২ টার দিকে হারেস মিয়া দাঁড়ালো ছুরি নিয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করেন।

প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায় স্বামী তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে। তখন মাকে বাঁচাতে যায় ছেলে সোহাগ। কিন্তু পিতা হারেস তার ছেলে সোহাগকেও ছুরিকাঘাত করে। পরে সে নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করে।

এদিকে অন্য ঘরে থাকা মেয়ে বিথী ঘুম থেকে উঠে এসব দেখে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে আহত তিনজনকে নারায়ণগঞ্জ শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন। আর স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত সোহাগের লাশ উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধিন বলে জানান ওসি।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নারায়ণগঞ্জ,ছুরিকাঘাত,ছেলে খুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close