বরগুনার পাথরঘাটার বিপনীবিতানে মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাই ও বিউটি পার্লার খোলা রাখার দায়ে শনিবার দুপুর পৌনে ১ টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা আদায় করে।

মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাই রাখার দায়ে পৌর শহরের পূর্ব বাজারের মো. সাগর মিয়াকে ১ হজার টাকা এবং তার মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাইয়ের সরবরাহকারি রিফাত ষ্টোরকে ১হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময় খায়রুল ষ্টোরে মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাই রাখার দায়ে ২হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ওই সেমাইগুলো কেরোসিন দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

এর আগে কেজি স্কুল রোডের সাজঘর বিউটি পার্লার খুলে কাজ করার দায়ে ওই পার্লারকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং দুই কাষ্টমারকে ৪শ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময় এফজি বিউটি পার্লারকেও ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া কসমেটিকস্, মোদি-মনোহরী, গার্মেন্টস, জুতা, টেইলার সহ নানা বিপনী বিতানেও অভিযান চালানে হয়। ভোক্তা অধিকার-৯, এর ২০৫১ ধারায় খাদ্য দ্রব্যের ওই বিপনী বিতানগুলোতে জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ূন কবির। এসময় কোভিট-১৯ করোনাকালীন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত নৌবাহীনির অফিসার, থানা পুলিশ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির বলেন, খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো পণ্য পাওয়া গেলে কোনো ছাড় নেই।