ত্রাণ দেওয়ার নামে ধর্ষণ করার অভিযোগে ইউপি সদস্য আনোয়ার খানের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা করেছে ভুক্তভোগি মেয়ের পরিবার। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বরগুনার তালতলী থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে।

মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের পূর্ব বাদুরগাছা এলাকায় করোনাভাইরাসের কারণে দিনমজুর সোবাহান কোনো কাজকর্ম না করতে পেরে বেকার হয়ে পড়েন। এর জন্য তার পরিবার খাদ্য সঙ্কটে পড়ে। বিষয়েটি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে গত ৬ এপ্রিল সোমবার জানালে তিনি তাদের নাম সরকারি সহায়তার তালিকাভুক্ত করার জন্য ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার খানে কাছে যান সোবাহান। তিনি সেই সময় তার মেয়েকে জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্ড নিয়ে আসতে বলেন। পরের দিন ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ঐ দিনমজুর সোবাহানের বিবাহিত মেয়ে ইউপি সদস্যর বাড়িতে গেলে এই সুযোগে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় মেয়ের স্বামী ইসরাফিল ইউপি সদস্যর বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি দেখে ফেলে। এই ঘটনা কাউকে বললে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়।

পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ভুক্তভোগি দিনমজুর পরিবারকে থানায় মামলা করলে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়। পরের দিন স্বামীকে তুলে নিয়ে যায় ইউপি সদস্য। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য আনোয়ার খানকে আসামি করে ৯ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে তালতলী থানায় ৯/১ ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা করেন সোবাহানের মেয়ে।

এদিকে ঘটনায় ভুক্তভোগি পরিবারকে নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঐ মেয়েকে পুলিশ উদ্ধার করে তালতলী থানায় নিয়ে আসে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ভিকটিম বাদি হয়ে ইউপি সদস্য আনোয়ার খানকে আসামি করে ৯/১ ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা করেন। তাকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পিডিএসও/হেলাল