নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

  ৩১ মার্চ, ২০২০

নাঙ্গলকোটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

হত্যার অভিযোগ পরিবারের

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে জেসমিন আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের ছগরীপাড়া গ্রামের মৃত. আব্দুল মালেকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে এ ঘটনায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। নিহত জেসমিন ওই ইউপির ঘাসিয়াল গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়ে।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, ২০১১ সালে ছগরিপাড়া গ্রামের মৃত. আব্দুল মালেকের ছেলে বাবলুর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় জেসমিনের। দাম্পত্য জীবনে তাদের জিহাদ (৬) ও মরিয়ম (৪) নামে দুটি সন্তানও রয়েছে।

গত এক বছর পূর্বে বাহারাইন প্রবাসী স্বামী বাবলুকে পাঠানো কিছু অন্তরঙ্গ ছবি গৃহবধূর মোবাইল থেকে ননদ তাসলিমা আক্তারের স্বামী ওয়াসিম চুরি করে নিয়ে যায়। এ ছবি দিয়ে তাকে ও তার স্বামী বাবলুকে ব্লাকমেইল করতে থাকে ওয়াসিম। এ ঘটনা জানাজানি হলে শাশুড়ি আলেয়া বেগম, ননদ তাছলিমা ও তার স্বামী ওয়াসিমসহ পরিবারের লোকজন মিলে গৃহবধূ জেসমিনকে দফায় দফায় মারধর করে।

এ ঝামেলা মেটাতে গত দেড়মাস পূর্বে স্বামী বাবলু বাহারাইন থেকে দেশে আসে। গত ৭ মার্চ বাবলু আবার বাহারাইন পাড়ি জমান। আর মঙ্গলবার দুপুরে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে নিহতের বাবা মানিক মিয়া ও ভাই জসিম উদ্দিন বলেন, জেসমিনকে তার শাশুড়ি আলেয়া বেগম, ননদ তাসলিমা আক্তার, ননদের স্বামী ওয়াসিম, দেবর নজরুল, সাইফুল, বড় ননদের ছেলে রিয়াদ মিলে জেসমিনকে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত করে হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানান। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে রয়েছে। ফলে তাদের বাড়িতে গিয়েও কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানায়র অফিসার ইনচার্জ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গৃহবধূ,ঝুলন্ত লাশ,নাঙ্গলকোট
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close