একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আবদুল মোমেন।

গতকাল রোববার সংসদ নির্বাচনে বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন তিনি। এই বিজয়কে ঈদ উৎসবের মতো অনুভব করছেন আবদুল মোমেন। সিলেটের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে এই বিজয় আমার কাছে ঈদ উৎসবের মতো মনে হচ্ছে। আমার দল ও আমার সিলেটবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ আমি। এখন থেকেই আমি সিলেটবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করব।’

সিলেটের বাসিন্দাদের প্রত্যাশা পূরণে যে কাজগুলো তিন অগ্রাধিকার দেবেন সেগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের উন্নয়নে বেশকিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। আমি গত তিন বছর থেকে এসব কাজের দেখাশোনা করছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন আপনি সিলেটের উন্নয়নে একটু দেখভাল করেন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে। আমি কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন করিয়েছি।

এর মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয় লেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতাল, সিলেটে বিমানবন্দর আন্তর্জাতিককরণ, জলাবদ্ধতা নিরসন, সড়ক প্রশস্থকরণসহ উল্লেখযোগ্য অনেক কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটকে একটি দৃষ্টিনন্দন শহর রূপান্তর করা, দুইটি রিং রোড, নদীর তীরে সুন্দর একটি রাস্তা, হজরত শাহজালাল (রহ.), হজরত শাহপরান (রহ.) মাজারের উন্নয়ন, সম্ভাবনাময় সিলেটের পর্যটনকে আরো সমৃদ্ধি করা।’ এসব বিষয়ে তার প্রথম পদক্ষেপ হবে বলে জানান নবনির্বাচিত এ সংসদ সদস্য।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি সিলেটবাসীকে গ্যাস উপহার দেওয়ার জন্য অনেক দিন থেকে চেষ্টা করছি। গত ২২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। শুধু গ্যাস নয় সুরমা নদীর নাব্যতা বাড়ানো, নদীভাঙন হ্রাস, উন্নত রেলওয়েসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করব। মোট তথা আমি পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে অগ্রণী ভূমিকায় দেখাতে চাই।’

উল্লেখ্য, গত রোববার অনুষ্ঠিত ভোটে সিলেট-১ (সিটি করপোরেশন-সদর উপজেলা) আসনে নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন ড. এ কে আবদুল মোমেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৫১ ভোট। এই আসনে মোট কেন্দ্র ছিল ২১৫টি।

পিডিএসও/তাজ