হাসপাতালের বাইরে মালিকের দেখা পেল কুকুরটি
যাদের পোষ্য আছে তারাই বোঝেন এর মূল্য। কঠিন রোগের সময় আপনার লড়ে যাওয়ার সুযোগ শুধু বাড়িয়েই দেয় না তারা, বরং অসুস্থতার সময়ে অনুগত সঙ্গী হিসেবেও পাশে থাকে।
এ প্রসঙ্গের অবতারণা তুরস্কের জেমাইল সেনতুর্ক ও তার পোষা কুকুর নিয়ে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ১৪ জানুয়ারি মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাধার জটিলতা নিয়ে উত্তর ট্রাবজোন প্রদেশের হাসপাতালে ভর্তি হন ৬৮ বছরের এ ব্যক্তি।
এ সময় অসুস্থ ব্যক্তির পাশে শুধু পরিবারই ছিল না, দীর্ঘ দিনের পোষা কুকুর বনকুকও ভালোবাসার নজির গড়েছে।
ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ পর বুধবার সেনতুর্ক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। আর দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তার দেখা পায় বনকুক। ওই সময় তার আনন্দ-উচ্ছ্বাসে অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়ে বলে জানান সেনতুর্কের মেয়ে আয়শে।
তিনি জানান, প্রতিদিন যখন বাবাকে দেখতে পরিবার হাসপাতালে এসেছে, সঙ্গে ছিল বনকুক।
আয়শে বলেন, আমার বাবা নয় বছর আগে কুকুরটিকে নিয়ে আসে। নিজের হাতে পেলে-পুষে বড় করেন। আর এভাবে নিজের আনুগত্য দেখালো বনকুক। বাবা যখন হাসপাতালে চিকিৎসার সময় তাকে নাম ধরে ডাকত, আমাদের অবাক করে কেঁদে উঠত।
আরও জানান, কুকুরটিকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সে কোনো না কোনোভাবে নিয়মিত হাসপাতালে চলে আসতো।
অন্য দিকে সেনতুর্ক জানান, বনকুকের সঙ্গে তার নয় বছরের গভীর বন্ধন, চিকিৎসাকালীন সময়ে তিনি প্রিয় পোষ্যর অভাব খুবই অনুভব করতেন।
আরও বলেন, অনেক সময় হাসপাতালের জানালা দিয়ে দেখতাম। নাম ধরে ডাকলে সে চিৎকার করত। আমরা আবার একত্রিত হয়েছি। আপনি যদি কুকুরের দিকে মনোযোগ দেখান, তার মধ্যেও একই বিষয় দেখতে পারেন।
কভিডের ঘরবন্দি এই সময়ে তুরস্কের অনেক মানুষের সঙ্গী হয়েছে পোষা প্রাণী। দেশটির প্রাণী অধিকারকর্মীরা জানান, সাম্প্রতিক রয়েছে পোষ্য নেওয়ার হার দ্বিগুণ হয়েছে। সঙ্গে উদ্বেগও প্রকাশ করেন, মহামারি শেষ হলে তারা এই ছোট বন্ধুদের ত্যাগ করতে পারে।
পিডিএসও/ জিজাক