ডিমের বাজারে এখোনো নৈরাজ্য
ডিমের বাজারে চলছে এখোনো নৈরাজ্য। সরকারের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত মূল্যে ডিম বিক্রি হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বড় কোম্পানিগুলোর কারণেই ডিমের বাজারে এ নৈরাজ্য, অভিযোগ বিক্রেতাদের।
ভোক্তা অধিকারের কঠোর হুঁশিয়ারির পর বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমলেও নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ এবং বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। এতে প্রতি পিসের দাম পড়ছে ১৩ টাকা ৩৫ পয়সা। যদিও সরকার খুচরা পর্যায়ে দাম বেধে দিয়েছিল ১১ টাকা ৮৭ পয়সা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, মাত্র এক সপ্তাহে ডিমের দাম বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ পর্যন্ত।
পাইকারদের দাবি, পিস প্রতি প্রায় দেড় টাকা বেশি দরে কেনার কারণে খুচরাতেও দাম পড়ছে বেশি। অন্যদিকে উৎপাদক পর্যায়ে বড় বড় কোম্পানিগুলোর কারণেই ডিমের বাজারে এ নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে বলে দাবি খুচরা ব্যবসায়ীদের।
এদিকে, ক্রেতারা বলছেন শুধু দাম বেধে দিলে হবে না। সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি হচ্ছে কি না সে বিষয়ে কঠোর নজরদারী করতে হবে সরকারকে।
এর আগে, গত ২ দিন রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় ডিমের আড়ত বন্ধ রাখে ব্যবসায়ীরা। গতরাত থেকে আবার সচল হলে জমে ওঠে তেজগাঁও এর আড়ত। ফলে রাজধানীতে ডিমের যোগান স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গতকাল ডিমের নতুন দর নির্ধারণ করে দেয়। খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ধরা হয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। আর উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা। আজ বুধবার থেকে নতুন এই দাম কার্যকর করা হয়।