অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
উন্নয়নের সঙ্গে বাড়ছে অর্থনৈতিক বৈষম্য : ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
দেশ উন্নয়নের পথে যত এগিয়ে যাচ্ছে ততই অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে এবং প্রতিবছরই তা বাড়ছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এমনটাই মনে করেন।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আখ্যান ও সমান্তরাল বাস্তবতা: পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর ভাবনা’ শীর্ষক বইয়ের জনপ্রকাশ অনুষ্ঠান ও সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এমনটা বলেন।
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত অনুষ্ঠানে ড. দেবপ্রিয় বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দেশে বৈষম্য বাড়ছে। বাংলাদেশে যে সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ ধনী আছে তারা ৪১ শতাংশ আয়কে নিয়ন্ত্রণ করে। আর সবচেয়ে গরিব যে ১০ শতাংশ মানুষ আছে তারা ১ দশমিক ৩ শতাংশ আয়কে নিয়ন্ত্রণ করে। এই ব্যবধান কিন্তু বছর বছর বাড়ছে। অর্থনৈতিক বৈষম্যের পাশাপাশি গ্রামীণ দারিদ্র্যও বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই-সংগ্রাম করছি, দেশটাকে বাসযোগ্য করার চেষ্টা করছি। আমরা একদিকে বাসযোগ্য করার চেষ্টা করছি, অন্যদিকে টাকা পাচারকারীরা দেশ থেকে টাকা নিয়ে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, মালয়েশিয়াকে বাসযোগ্য করার চেষ্টা করছে।
বইটিতে পিছিয়েপড়া মানুষের সমস্যা ও সংকট প্রসঙ্গে মামুনুর রশীদ বলেন, সমস্যাগুলো রাজনৈতিক। এটাকে যদি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা না যায়, এতে যদি রাজনীতিবিদ, আমলা, প্রযুক্তিবিদ যুক্ত না হন তাহলে এগুলো সমাধান করা খুব কঠিন।
সিপিডির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে প্রকাশিত বই নিয়ে আলোচনা করেন করেন মানবধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, বিচারপতি মো. আবদুল মতিন, বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর প্রমুখ।