reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৪ মে, ২০২২

৩৬ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বৃদ্ধি

ছবি : সংগৃহীত।

বিভিন্ন সময়ে, সেবার উপর মাশুল বাড়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে চট্টগ্রাম বন্দর সর্বশেষ একসাথে সব মাশূল বাড়িয়েছিল ১৯৮৬ সালে। ৩৬ বছর পর আবারো পুনর্গঠন করা হচ্ছে মাশুল বা ট্যারিফ কাঠামো।

প্রায় ২ বছর ধরে কাজ চালিয়ে ট্যারিফ কাঠামো পুনর্নির্ধারণ করেছে দেশি-বিদেশি দুটি প্রতিষ্ঠান। চূড়ান্ত হয়েছে খসড়া। সরকারের অনুমোদনের পর গেজেট প্রকাশ হলে তা কার্যকর হবে। তবে এমন উদ্যোগ নিয়ে অসন্তোষ আছে বন্দর ব্যবহারকারীদের।

পোর্ট ইউজার্স ফোরামের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বলেন, পোর্টের সক্ষমতা বেড়েছে। তাই ট্যারিফ না বাড়িয়ে কমানো দরকার। তিনি অভিযোগ করেন, তাদের মতামতকে মূল্যায়ন করা হয়নি । শুধু তাই নয় বর্তমান বাস্তবতায় মাশুল বৃদ্ধি অযৌক্তিকও।

বন্দর কর্তৃপক্ষ ৬০টি খাতে মাশুল বা চার্জ আদায় করে। ব্যবসায়ীদের দাবি, তাদের মতামতের কোন প্রতিফলন ঘটেনি খসড়ায়। প্রস্তাবিত কাঠামোয় এমন অনেক উপধারা যোগ করা হয়েছে যা অত্যন্ত জটিল। অনেক ক্ষেত্রে মাশুল বাড়ানো হয়েছে ১শ ভাগের বেশি। যার চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ব্যবসা ও পণ্যমূল্যে।

অবশ্য, কর্তৃপক্ষ সচিব মো. ওমর ফারুকের দাবি ব্যবহারকারীদের মতামত নিয়েই করা হয়েছে ট্যারিফ কাঠামো। তবে নতুন করে মতামত পেলে তা বিবেচনা করা হবে।

তিনি আরো যোগ করেন, ৮৬ সালের খরচ আর বর্তমান খরচ তো এক না। এ টাকা যুগোপযোগী করার প্রয়োজন ছিল। তবে এখনো বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি তাই মতামত পেলে আমরা অবশ্যই বিবেচনা করব।

চট্টগ্রাম বন্দরের বছরে আয় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। নতুন ট্যারিফ কাঠামো কার্যকর হলে আয় কয়েকগুণ বাড়বে জানান কর্মকর্তারা।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চট্টগ্রাম বন্দর,মাশুল বৃদ্ধি,ট্যারিফ কাঠামো,পুনর্নির্ধারণ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close