reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৭ অক্টোবর, ২০২১

হচ্ছে না ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প

প্রায় এক দশক আগে নেয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে হচ্ছে না। অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার ফলে পিপিপিতে হচ্ছে না ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে।

রবিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।

এখানে একশ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে, তারপর এটি বাতিল হলো কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওটা একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি ছিল। সেজন্য টাকাটা গচ্ছা যায়নি। খরচ হওয়া টাকাটা গচ্ছা থেকে বাঁচিয়েছে। যেকোন কাজের তো ফিজিবালিটি স্টাডি করতে হবে। এই টাকা জিওবির হয়। এটি নিয়ে আজকের সভায়ও আলোচনা হয়েছে, সেখানে বলা হয় ফিজিবালিটি স্টাডি হয়েছে। যেহেতু জাতীয় মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীত করা হবে এবং পাশে সার্ভিস লাইন নির্মাণ করা হবে। সারাদেশব্যাপী এটা হচ্ছে। সরকার এটি করবে, এটাই হচ্ছে মূল সিদ্ধান্ত। এটা পিপিপিতে হওয়ার কথা ছিল। এখন পিপিপিতে হচ্ছে না, তবে সেখানে চার লেনের মহাসড়ক হবে এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’

জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের প্রস্তাব ২০১৩ সালের ১৩ মার্চের সিসিইএ সভায় নীতিগত অনুমোদন পরবর্তী সমীক্ষা পরিচালনা এবং বিশদ নকশা প্রণয়ন করা হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ না করে বিদ্যমান ফোরলেন বিশিষ্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রশস্তকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নিমার্ণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ প্রেক্ষাপটে, আজকের বৈঠকে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে নির্মাণের কার্যক্রম বাতিলের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয় এবং তা নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সামসুল আরেফিন আরও জানান, হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক (চিটাগাং রোড মোড় এবং তারাবো লিংক মহাসড়কসহ) পিপিপি ভিত্তিতে ফোরলেনে উন্নীতকরণের প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া প্রস্তাবটিতে বলা হয়, রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। পিপিপি ভিত্তিতে বিনিয়োগকারী চায়না কমিউনিকেশনস কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনকে (সিআরবিসি) নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর সিসিইএ সভায় উপস্থাপন করা হলে আরও কিছু তথ্য-উপাত্তসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। সে অনুসারে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি সিসিইএ সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে পিপিপি চুক্তিটি কর্তৃপক্ষকে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য নির্দেশনা দেন। পিপিপি কর্তৃপক্ষের মতামত এবং সার্বিক দিক বিবেচনায় বর্ণিত পিপিপি প্রকল্পে বিনিয়োগকারী হিসেবে সিসিসিসিএল এবং সিআরবিসিকে নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close