ড. মিহির কুমার রায়
বিশ্লেষণ
কৃষিপণ্যের বাজার : লোকসানে চাষি ও ভোক্তা

কৃষিপণ্যের মূল্য অথর্নীতির কোনো তত্ত্বের মধ্যেই ধরা দেয় না, যা সাময়িক কিছু ঘটনা থেকে দেখা যায়। কৃষক বিক্রি করছেন লোকসানে, ক্রেতা কিনছেন ৬-৭ গুণ বেশি দামে। কৃষক থেকে ক্রেতা পর্যন্ত পণ্য পৌঁছাতে বেশ কয়েকবার হাতবদল হয়। প্রতিবার হাতবদলে মধ্যস্থতাকারীরা নিজেদের লাভের অংশ যোগ করে, কৃষি সমবায় বিপণনব্যবস্থায় কৃষকের লোকসান কমবে, অভিমত বিশেষজ্ঞদের। লালমনিরহাটের বড় কমলাবাড়ির চাষি আসাদ মিয়া ঋণ করে এবার ২৭ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চাষ করেছিলেন। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা ছিল, ফুলকপি বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবেন। মুনাফার একটা অংশ দিয়ে সংসারের খরচ, আরেক অংশ দিয়ে পরবর্তী ফসল চাষের খরচ মেটাবেন। কিন্তু তার সেই হিসাব ওলটপালট হয়ে গেছে। এবার ফুলকপির দাম প্রতিটি ৫ থেকে ৬ টাকা করে। আসাদ মিয়াকে প্রতি ফুলকপিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে ৫ টাকা। অথচ উল্টো চিত্র রাজধানীর বাজারে। এখানে প্রতিটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বেগুন ৪০-৬০ টাকা, শিম ৩০-৫০ টাকা ও পেঁপে ৩৫-৪০ টাকায়। এ ছাড়া টমেটো ৭০-৮০ টাকা ও আলু ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ, কৃষক লোকসানে সবজি বিক্রি করলেও ক্রেতাকে সেই সবজিই কিনতে হচ্ছে ৬-৭ গুণ বেশি দামে। কৃষক আসাদ মিয়া বলেন, নিজের শ্রম বাদ দিয়েও চারা, সার, অন্যান্য খরচসহ প্রতিটি ফুলকপির উৎপাদন ব্যয় ৮ থেকে ১০ টাকা। অথচ প্রতিটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৬ টাকায়। বাজারে নিয়ে গেলে একটু বেশি দাম পাওয়া যায়, তবে পরিবহন খরচ দিয়ে তা প্রায় একই হয়। শুধু আসাদ নয়, লালমনিরহাটের প্রান্তিক সব চাষিই লোকসানে রয়েছেন। লোকসানের কথা জানিয়েছেন বগুড়ার মুলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজরসহ বিভিন্ন সবজি চাষিরাও। বগুড়ার বড় পাইকারি বাজার মহাস্থান, রাজাবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি (গড়ে একটি) ফুলকপি ৩-৫ টাকা, বাঁধাকপি ৮-১৩ টাকা, মুলা ২-৪ টাকা, গাজর ২৫-৩৫ টাকা, টমেটো ৩০-৫০ টাকা, শিম ৮-১২ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা ও বেগুন বিক্রি হয়েছে ১০-১৫ টাকায়। এ হাটের কৃষক নুর নবী বলেন, ফুলকপিসহ সবজি এমন ফসল, যা পরিপক্ব হলে আর খেতে রাখা যায় না। লোকসান হলেও বিক্রি করতেই হয়। না হলে আরো লোকসান। এই সুযোগে পাইকারেরা দাম কমিয়ে দেন। এতে কৃষক মূলধন হারান।
বগুড়ার মহাস্থানের পাইকারি ব্যবসায়ী বাদশা হাট থেকে সবজি কিনে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বড় শহরের আড়তগুলোয় বিক্রি করেন। বাদশা বলেন, ‘সবজি কিনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করতে পরিবহন ভাড়া, টার্মিনাল খরচসহ প্রতি কেজি সবজির ব্যয় হয় ৬ টাকা। কেনা দামের সঙ্গে যোগ করে যদি ফুলকপির কথাই বলি, তবে প্রতি কেজি বিক্রি করতে হয় ১১ টাকার বেশি। তবে খুচরা পর্যায়ে দাম আরো বেশি বাড়ে।’ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার আইরমারা গ্রামের কৃষক বশির আহমেদ গত বছর ১২ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছিলেন। লাভও করেছেন। সেই লাভের আশায় এবার ফুলকপি আবাদ করেছিলেন আরো ৮ বিঘা জমি বাড়িয়ে মোট ২০ বিঘা জমিতে। মৌসুমের শুরুতে দাম ভালো পেলেও এখন খরচই উঠছে না। কারণ, বাজারে প্রতি পিস ফুলকপির দাম ঠেকেছে ৫ টাকায়। অথচ একটা ফুলকপি উৎপাদনে খরচই হয়েছে প্রায় ১৫ টাকা। তার মানে প্রতি পিস ফুলকপিতে লোকসান ১০ টাকা। বশির আহমেদ আগামী বছর কি আর ফুলকপি আবাদ করবেন? হয়তো করবেন। হয়তো করবেন না। কিন্তু এবার যে ক্ষতি হলো, সেটি পোষাবেন কী করে? দেশ কি তার পাশে দাঁড়াবে?
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কপি, মুলাসহ কিছু কিছু সবজির উৎপাদন ভালো হলেও সে তুলনায় বাজারে চাহিদা কমে গেছে। মানুষ এখন কপি খেতে চায় না। তাই কৃষক লোকসানে পড়েছেন। এই দাম বেশি দিন থাকবে না। এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার বাড়তে শুরু করবে। সেগুনবাগিচা বাজারের সবজির খুচরা বিক্রেতা ইয়ামিন বলেন, ‘আমরা কারওয়ান বাজারের পাইকারদের কাছ থেকে যখন যে দামে কিনি, সে অনুসারে গাড়িভাড়া, নষ্ট হওয়ার লোকসান যোগ করে বাজারের দাম অনুসারেই বিক্রি করি। পাইকারেরা বাড়তি দাম রাখলে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করে গত অক্টোবরে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। তাতে বলা হয়, উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়লেও উৎপাদকরা ন্যায্যমূল্য পান না। কখনো কখনো পরোক্ষ খরচের কারণে দাম বাড়ে। পণ্যের চাহিদা, উৎপাদন, জোগান এবং আমদানির সমন্বয়হীনতার পাশাপাশি অদক্ষ বাজারব্যবস্থা, পণ্য পরিবহনের উচ্চ হার, বাজার আধিপত্য এবং উৎপাদনকারীদের খুচরা বাজারে প্রবেশাধিকারের স্বল্প সুযোগ- এসব কারণে স্থানীয় বাজারে সবজি, কাঁচামরিচসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। স্টোরেজ, পরিবহন এবং পণ্য প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ে উৎপাদন খরচ যদি কমানো যায়, তাহলে এর সমাধান হতে পারে বলে বলা হয় গবেষণায়। এ ব্যাপারে কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষি খাতের একটি অন্যতম সমস্যা হলো কৃষক ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারেন না। কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ক্রেতা পর্যন্ত পৌঁছানোর পথে বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারী, যেমন- পাইকার, ব্যাপারী, আড়তদার, ফড়িয়া, খুচরা বিক্রেতা ইত্যাদির দ্বারস্থ হতে হয়। প্রতিটি ধাপে মধ্যস্থতাকারীরা নিজেদের লাভের অংশ যোগ করে। এতে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। ফলে একদিকে ক্রেতাকে বেশি দামে কিনতে হয়, অন্যদিকে লাভের একটি বড় অংশ কৃষকের কাছে পৌঁছায় না। এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় হতে পারে কৃষি সমবায় বিপণনব্যবস্থা বা ‘কৃষিপণ্য একত্রীকরণ মডেল’-এর বাস্তবায়ন। এ পদ্ধতিতে কৃষকরা তাদের পণ্যের বিপণন, পরিবহন ইত্যাদি নিজেরাই সম্পন্ন করতে পারবেন। ফলে তারা লাভের মুখ দেখতে পারবেন।
বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাইকারি হাটে কৃষক নিজ খরচে সবজি এনে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। পাইকারেরা সরাসরি ট্রাকে করে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার আড়তগুলোয় সরবরাহ করেন। আড়ত থেকে আশপাশের বাজারের ছোট পাইকারেরা কিনে নেন। তাদের কাছ থেকে প্রান্তিক খুচরা বিক্রেতারা সবজি কিনে নিয়ে যান শহরের বিভিন্ন বাজারে, যাদের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা সবজি কেনেন। সে হিসাবে প্রতিটি হাতবদলে সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বলেন, বর্তমান বাজারে সব ধরনের সবজির জোগান বেশি হওয়ায় দর কমে গেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপিই শুধু নয়, সব ধরনের সবজির দামই কমেছে। কৃষকের হতাশার খবর চোখে পড়ে স্বপ্ন কর্তৃপক্ষের। খবর জানার পর স্বপ্নের প্রতিনিধি গিয়ে প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার ফুলকপি কিনেছেন গত ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। ফুলকপি সবজি চাষি রকিব আলী জানান, এক বিঘা জমিতে ফুলকপির আবাদ করতে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। সঙ্গে রয়েছে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ। লাভের মুখ না দেখে উল্টো জমিতে ফুলকপি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। চিন্তা ছিল অনেক। সেখানে আশার মুখ দেখালো সুপারশপ স্বপ্ন। আমাদের থেকে ১০ হাজার পিস ফুলকপি কিনেছেন তারা। সেখান থেকে কিছু টাকা আয় হয়েছে। স্বপ্নকে অনেক ধন্যবাদ।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বলেন, প্রতিবছর এ মৌসুমে মেহেরপুরে ব্যাপকভাবে বাঁধাকপি ও ফুলকপির আবাদ হয়। হঠাৎ দরপতন হয়েছে। স্বপ্নকে এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। স্বপ্নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে মেহেরপুরের কৃষকদের এই হতাশার বিষয়টি চোখে পড়ে আমাদের। এরপর স্বপ্নের টিম মেহেরপুরের সেই কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং ফুলকপি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বপ্নের ক্রেতাদের জন্য আজ থেকেই স্বপ্ন আউটলেটে থাকবে মেহেরপুরের সেই কৃষক ভাইয়ের জমির ফুলকপি। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষক বাঁচলে, বাঁচবে দেশ।
যে কৃষককে বলা হয় দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড; যে কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে ছোট্ট আয়তনের একটি দেশে প্রায় ১৮ কোটি মানুষ খেয়েপরে বেঁচে আছে- তাদের জন্য রাষ্ট্র কতটুকু দায়বোধ করে? আমাদের দেশ ও সমাজ কৃষককে কতটুকু মর্যাদা দেয়? তার দুঃখ-দুর্দশায় রাষ্ট্র কি আদৌ তার পাশে থাকে? এ প্রশ্নের উত্তর খুব সুখকর হবে না। মানিকগঞ্জের কৃষক বশিরউদ্দিন দিন কয়েক আগে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে যে কথাগুলো বলেছেন, সেটি সারা দেশের কৃষকেরই প্রতিনিধিত্ব করে। গণমাধ্যমের খবর বলছে, সারা দেশেই ফুলকপির দাম ভয়াবহ আকারে পড়ে গেছে। এখানে কয়েকটি প্রশ্ন:- ১. মৌসুমের শুরুতে যে ফুলকপির পিস ছিল ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, মাস দেড়েকের মধ্যে তার দাম কী করে ৫-১০ টাকায় নেমে এলো? এটি কি বাজারব্যবস্থার ত্রুটি নয়? ২. মাঠপর্যায়ে একজন কৃষক একটি ফুলকপিতে ৫ টাকার বেশি পাচ্ছেন না। অথচ খুচরা বাজারে গিয়ে সেটি ২০ থেকে ২৫ টাকা হয়ে যাচ্ছে কী করে? মাঠ থেকে ভোক্তাপর্যায়ে আসতে কতবার হাতবদল হয় এবং প্রতিবার হাতবদলে কী পরিমাণ দাম বাড়ে? ৩. কৃষক ও ভোক্তাপর্যায়ে দামের এই যে বিরাট পার্থক্য, সেটি কমিয়ে আনতে রাষ্ট্রের মেকানিজম কী বা আদৌ কোনো মেকানিজম আছে কি না? ৪. ভরা মৌসুমে যখন ফুলকপি বা অন্যান্য সবজির দাম অনেক কমে যায়, তখন সারা বছরের জন্য ওই সবজি সংরক্ষণের মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা কেন গড়ে তোলা যাচ্ছে না- যাতে করে সারা বছরই ভোক্তারা একটা যৌক্তিক দামে সবজি কিনতে পারেন এবং সেই সঙ্গে কৃষককেও লোকসান গুনতে না হয়? ৫. বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে এ রকম সংরক্ষণাগার গড়ে তোলা যাচ্ছে না কেন? ৬. সারা পৃথিবীতেই ফুলকপিসহ অন্যান্য সবজির চাহিদা ব্যাপক। ফলে ভরা মৌসুমে যখন সবজির দাম অনেক কমে যায়, তখন সরকার কেন কৃষকের কাছ থেকে একটা যৌক্তিক দামে প্রচুর সবজি কিনে সেগুলো বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করে না? এটি করা গেলে তিনটি কাজ হবে। যেমন- ক. কৃষক লাভবান হবেন। অর্থাৎ, ১৫ টাকা দিয়ে একটা ফুলকপি উৎপাদন করে তাকে ৫ টাকায় বিক্রি করতে হবে না। খ. সাধারণ ভোক্তারা ১০ টাকা বা ১৫ টাকায় একটা ফুলকপি কিনতে পারবেন না। বরং দামটা এমন হবে যাতে কৃষক তার উৎপাদন খরচ পান, আবার ভোক্তাও না ঠকে। গ. বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বাড়বে।
বস্তুত বাংলাদেশের বাজার সারা বছরই অস্থির থাকে- যেখানে কৃষক ও সাধারণ ভোক্তা কখনোই স্বস্তিতে থাকে না। ফুলকপির দাম যখন ১৫০ টাকা হয়, সেটা যেমন আনস্ট্যাবিলিটি, তেমনি ফুলকপির দাম ৫ টাকা হলে সেটিও অস্থিরতা। এ দুই ধরনের পরিস্থিতিই বাজারব্যবস্থার ত্রুটি নির্দেশ করে। এ ক্ষেত্রে সরকারের বাজার মনিটরিংয়ের বাইরেও তারা বাজারনীতি, কৃষিনীতি, ভোক্তা অধিকারসহ প্রতিটি বিষয় গণমুখী না হলেই এই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। মাঠপর্যায়ে কৃষি বিভাগের যে লোকেরা কাজ করেন, কৃষকরা তাদের আদৌ দেখা পান কি না বা তাদের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ পান কি না কিংবা প্রয়োজনীয় পরামর্শ তারা দেন কি না- এসব বেশ পুরোনো প্রশ্ন? তাছাড়া কোন মৌসুমে কোন খাদ্যপণ্যের কী পরিমাণ চাহিদা আছে, তার সঙ্গে সংগতি রেখে উৎপাদন করতে না পারলে হয় উৎপাদন কম হবে, না হয় বেশি হবে। সুতরাং মাঠপর্যায়ে সেই গবেষণাটি আদৌ হয় কি না- সেটিও বড় প্রশ্ন?
লেখক : অধ্যাপক (অর্থনীতি), সিন্ডিকেট সদস্য
সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা
"