মুসাহিদ উদ্দিন আহমদ
মতামত
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় অর্থনৈতিক সংকট সমাধান জরুরি
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশগত সমস্যা পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে প্রকট। ভৌগলিক অবস্থান, ঘন জনবসতি, জীবিকার জন্য প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা এবং দারিদ্র্যসহ নানা কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারে দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা, পূর্বাঞ্চলের হাওর-বাঁওড়, উত্তরাঞ্চলের খরাপ্রবণ এলাকা বিশ্বের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ। বাংলাদেশের মোট ১৮ ভাগ জমি বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। অন্যদিকে দেশের খরাপ্রবণ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল রয়েছে পানি সংকটের মুখে। বৈশি^ক গ্রিন হাউস নির্গমনের ক্ষেত্রে মাত্র ০.৪ শতাংশ ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও জলবায়ুগত প্রভাবের অভিঘাতে রয়েছে বাংলাদেশ। গত এক দশকে বিশ্বের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে পারে ১ মিটার। ফলে বিশ্বের ৪৩টি দেশ সমুদ্র গর্ভে হারিয়ে যেতে পারে। কখনো বা অতিরিক্ত জোয়ার এবং জলোচ্ছ্বাসের লবণাক্ত পানি ভূখণ্ডে ঢুকে কমিয়ে দেয় ভূমির উৎপাদন ক্ষমতা। ভূ-গর্ভস্তর থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের ফলে পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে। ২১০০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১.৬২ সেন্টিমিটার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের তথ্যানুসারে, ঢাকা শহরের পানির স্তর বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭০ ফুটের অধিক নিচে। বিগত ৫০ বছরে ধ্বংস হয়ে গেছে বাংলাদেশের ৫২০টি নদী। জলবায়ুবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্যানেলের (আইপিসি) রিপোর্টে উল্লেখিত জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের একটি প্যানেল হুঁশিয়ার করেছে, মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের পরিণতিতে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে দ্রুত সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং প্রতিনিয়ত বরফ গলছে। মেরু অঞ্চলের বরফের আচ্ছাদন বিলীন হওয়ার কারণে কার্বণ নিঃসরণের মাত্রাও বেড়ে চলছে। বিভিন্ন জীবজন্তুর আবাসস্থল বদলাচ্ছে। এই শতকের শেষ ভাগে যদি বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় তবে তার পরিণতি কী হতে পারে সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সমুদ্র এবং বরফে আচ্ছাদিত অঞ্চলের বরফ দ্রুত গলার ফলে প্রাণিজগতের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মানুষের নানা কর্মকাণ্ডে পরিবেশে যে বাড়তি তাপ তৈরি হচ্ছে তার ৯০ শতাংশই শুষে নেয় সাগর। পরিবেশবাদীদের আশঙ্কা, সাগরের উচ্চতা বাড়লে নিচু উপকূলীয় এলাকার ৭০ কোটি মানুষ বিপদে পড়বে। সাগরের তাপমাত্রা বাড়লে আবহাওয়াও দিন দিন বিরূপ আচরণ শুরু করবে। জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ও বেড়ে যাবে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের বেশকিছু জায়গায় বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও করছেন বিজ্ঞানীরা। সাগরের ৯০ শতাংশ প্রবাল বিলীন হতে পারে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে। তার জন্য কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে ২০৩০ সালের মধ্যে। এক আন্তর্জাতিক গবেষণার তথ্যমতে, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। জলবায়ুর আমুল পরিবর্তনের কারণে বন্যা ও খরার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। উত্তাপ বাড়ার কারণে হিমবাহের গলন আরো বাড়বে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব-দ্বীপ বাংলাদেশ, এখানে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিজনিত বিভিন্ন হুমকি ও চ্যালেঞ্জের ঝুঁকি অধিক। সেক্ষেত্রে জলবায়ুর চরমভাবাপন্ন বৈরি আচরণ এবং পরিবেশের অবনমন টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে চ্যালেঞ্জস্বরূপ।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি নিশ্চিতকরণের জন্য জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, কার্বন নিঃসরণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ বন্ধে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে অর্থ বরাদ্দে আজও তেমন সাফল্য অর্জিত হয়নি। আইনি কাঠামো বাস্তবায়নে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্যে আসেনি অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো। প্যারিস সম্মেলনে ২০১৫ সালের মধ্যে বৈশি^ক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না বাড়ার বাধ্যতামূলক চুক্তিরও সিদ্ধান্ত ছিল। এ ছাড়াও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার লক্ষ্য নির্ধারণে ধনী দেশগুলো ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শতকরা ৪০ ভাগ কমিয়ে আনার কথা ছিল। ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির থেকে কার্বন নিঃসরণ ৫০ ভাগে নামিয়ে আনা। চুক্তিতে আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে এনে কোপেনহেগেন ‘গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড’ গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেই চুক্তির ফলে কার্বন নির্গমন ২০৫০ সালের মধ্যে কার্যত শূন্যে নামিয়ে বিভিন্ন দেশকে এই মুহূর্তে কার্বন নির্গমন ব্যাপক হারে কমানো জরুরি হয়ে পড়েছে। কার্বন নিঃসরণ কার্যকরভাবে বন্ধ বা হ্রাস করা সম্ভব না হলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বর্তমান শতাব্দীতে তীব্রতর হতে থাকবে।
প্যারিস চুক্তিতে উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়া এবং তা ২০২০ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকার কথা ছিল। কিন্তু চুক্তির সঙ্গে বাস্তবতার মিল ছিল না। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় ২৬তম জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৬) বিশ্বে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশের উচ্চাভিলাষী এনডিসি (ন্যাশনাল ডিটারসিন্ড কন্ট্রিবিউশন) প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীতা, জলবায়ু ক্ষতি কাটাতে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ কোটি ডলার তহবিল গঠন ও অভিযোজন এবং প্রশমনে আধাআধি বরাদ্দের প্রস্তাব, সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে সাশ্রয়ী মূল্যে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ প্রযুক্তি প্রদান এবং সিভিএফ দেশগুলোকে উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করতে উন্নত দেশকে আহ্বান, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীভাঙন, বন্যা এবং খরার কারণে বাস্তচ্যুত জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য বিশ্বব্যাপী দায়বদ্ধতা ভাগ করে নেওয়াসহ লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সমাধানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ আগামী দিনে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক পরিবেশ সুক্ষাসহ এবং এর বিরূপ প্রভাব থেকে বিশ্বের মানুষকে রক্ষা করে সামনে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অনুসারে ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রায় ৮৯.৬ বিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করা হয়েছিল। তবুও আনুপাতিকহারে বৈশি^ক জলবায়ু অর্থায়ন ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। জলবায়ু অর্থায়নের প্রায় ৯০ শতাংশ অর্থ জলবায়ু সংকটের প্রভাব মেটাতে খরচ হয়ে থাকে। সংকট কাটিয়ে উঠে দেশগুলোর স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে বহির্বিশে^র সহযোগিতা দিন দিন কমছে। বিশ্বের সামনে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
বর্তমান জ্বালানিব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে জ্বালানি সংরক্ষণ, গতানুগতিক জ্বালানি চাহিদা হ্রাস, বিদ্যমান যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি দক্ষতার উন্নয়ন, জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার জোরদার করাও জরুরি। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ নিশ্চিত করে সামষ্টিক উন্নয়নে সাহায্য-সহযোগিতা বিনিময়, উন্নত বিশ্বের কার্বন নিঃসরণ, জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ন্ত্রণসহ পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য প্রকল্পিত দীর্ঘমেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০, নীতি এবং অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ডেল্টা ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্রোচ গ্রহণ পরিবেশের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে। চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ। আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ২০১৫ সালে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে। জলবায়ু পরিবর্তনে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ। জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা জাতীয় দলিল ২০২২ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে আশাবাদী বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে দুবাইয়ের কপ-২৮ সম্মিলনে জীবাশ্ব জ্বালানির দহন কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালনির ব্যবহার নিশ্চিত করে অর্থের জোগান দেওয়াসহ বেশি জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর সাহায্যার্থে বিশ্ববাসীর যে প্রত্যয় তা বাস্তবায়িত করতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো সক্রিয় ভূমিকা পালন বিশ্বে উত্তাপ বৃদ্ধি ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধে কার্যকরব্যবস্থা রাখার প্রত্যাশা ছিল। কপ২৮ এ বাংলাদেশ জলবায়ু অর্থায়নের পক্ষে কথা বলে এবং এতে অনেকটা সফলতা আসে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে উত্তরণের জন্য বেসরকারি অর্থায়ন চালু করা দীর্ঘদিনের দাবি। বেসরকারি খাত থেকে যে পরিমাণ অর্থ জোগাড় করার আশা করা হয়েছিল বাস্তবে তা ঘটেনি। বিশ্বের জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় পরবর্তী সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমানো, জীবাশ্ম জ্বালানি তেল-গ্যাস-কয়লার ব্যবহার বন্ধ করা, জলবায়ুর ওপর শিল্পের প্রভাব কমাতে পারে এমন সব প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং পুনরায় উৎপাদনযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগের মতো বিষয় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলনে তাপমাত্রা, অর্থায়ন, অভিযোজন তহবিল, লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল এবং বিশ্বব্যাংক সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা বিশেষ প্রাধান্য পায়। বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিমত প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানের সাইড ইভেন্টে চেঞ্জ ইনিসিয়েটিভের জলবায়ু ঋণচুক্তি সূচক ২০২৪ শীর্ষক প্রতিবেদনে অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন, শতভাগ ঋণমুক্তি এবং প্রকৃতিভিত্তিক অর্থনীতিকে সংকটের মূল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবারের সম্মেলনে সমস্যার মোকাবিলা এবং এর সমাধানে অর্থায়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয় প্রধান হওয়ায় এ সম্মেলনকে ‘ফিনান্স কপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। জলবায়ুজনিত সংকট মোকাবিলা না করে বিশ্বের দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূর করা এবং সমৃদ্ধ ও স্থিতিস্থাপক বিশ্ব সম্প্রদায় গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও প্রকৌশলী
"