রায়হান আহমেদ তপাদার

  ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

মতামত

দেশ পুনর্গঠনে দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই

বিদায়ী শেখ হাসিনা সরকার গণতন্ত্রের মোড়কে ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনবার ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় থেকে জনগণের সম্পদ কুক্ষিগত করেছে এবং বিরোধী দলকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা দমন করেছে। মোটকথা, নির্বাচনহীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। অর্থাৎ একদিকে শাসকগোষ্ঠী নিজেরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে এবং অন্যদিকে বিরোধী দল এবং সাধারণ মানুষকে শোষণ ও নির্যাতন করেছে, যাকে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে এমিল ডুর্খেইম সামাজিক অসমতা বা বৈষম্য বলে অভিহিত করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের মোড়কে এক স্বৈরশাসককে দেখেছে। স্বৈর সরকার শুধু ক্ষমতা কুক্ষিগত করেনি বরং জনগণের ও রাষ্ট্রের অর্থ লুণ্ঠন করেছে, শিক্ষামানের অবনতি ঘটিয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছে, চর দখলের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বিমা দখল করেছে। সর্বোপরি গণতন্ত্রের নামে একনায়কতান্ত্রিকভাবে দেশ পরিচালনা করেছে। এখন সময় এসেছে, বিদায়ী সরকারের রেখে যাওয়া রাষ্ট্র, সমাজ ও অর্থনীতির ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে কীভাবে নতুন এক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যায়, কীভাবে সব ধরনের শোষণ ও বঞ্চনা অতিক্রম করে এক দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায়। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ৮ আগস্ট ২০২৪ গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার, কীভাবে কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারে, তাই দেখার বিষয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লব একটি শোষণহীন, বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার বাস্তবতা আমাদের সামনে উপস্থিত করেছে। ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে প্রায় অর্ধেকই তরুণ ও যুব। তাদের প্রত্যাশা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

এই প্রত্যাশা আগেও ছিল। তবে তা ছিল শুধু স্লোগান। প্রায় ৮০০ শহীদ এবং ২০ হাজার মারাত্মক আহত তরুণ ও যুবদের রক্তে রঞ্জিত এই বাংলাদেশকে প্রকৃত স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধির দেশ, ভোটাধিকার ও বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। বৈষম্যহীনতা যুগে যুগে সাধারণ মানুষের জীবনে এসেছে। একসময় অস্ত্রের মুখে রাষ্ট্র জয় করে সাধারণ মানুষকে শোষণ করা হতো। ভূস্বামীরা জমি দখল করে সাধারণ মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে জমিতে চাষ করাত। ইউরোপে কারখানায় মালিকরা শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাত আর তাদের কাজের বিনিময়ে খুব কম মজুরি দেওয়া হতো। পুঁজিবাদী শ্রেণি বা মালিকপক্ষ সব সময় শ্রমিকদের কম মজুরি দিয়ে শোষণ করত। আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায়, জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করা, বিরোধী মতকে দমন করা, জনগণকে ভোট থেকে বঞ্চিত করা, সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা এবং শক্তভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখে সমাজ ও অর্থনীতির ওপর কর্তৃত্ব করাকে কর্তৃত্ববাদ বা ফ্যাসিবাদ নামে অভিহিত করা হয়। অন্যদিকে, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলতে এমন এক রাষ্ট্রকে বোঝায়, যা জনগণের সামগ্রিক, সামাজিক নিরাপত্তা দান করে। কল্যাণরাষ্ট্রের মূল বৈশিষ্ট্য হলো জনকল্যাণ সাধন, নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা দান, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সুরক্ষা ও বৈষম্য দূর, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জনগণের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা পূরণ করা ইত্যাদি। জাতিসংঘের ঘোষণা মতে, কোনো রাষ্ট্রকে তখনই কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলা যেতে পারে, যখন রাষ্ট্র প্রতিটি নাগরিককে খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে এবং বেকারত্ব, অসুস্থতা অথবা অন্য কোনো কারণে জীবিকার্জনের অক্ষমতায় সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করে।

অষ্টাদশ শতাব্দীতে, টমাস পেইনের মতো সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিকরা ন্যায়সংগত সমাজের পক্ষে ছিলেন। তারা এমন একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে রাষ্ট্র নিজেই সক্রিয়ভাবে তার নাগরিকদের কল্যাণ সুনিশ্চিত করবে। ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ এবং সমাজ সংস্কারক উইলিয়াম বেভেরিজ আধুনিক কল্যাণরাষ্ট্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। পৃথিবীর উন্নতরাষ্ট্রগুলো যেমন- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস এবং এশিয়া মহাদেশের জাপান এবং সিঙ্গাপুরও তাদের স্বতন্ত্র সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের বিভিন্ন মডেল গ্রহণ করেছে। এটি একটি ভালো সরকার ব্যবস্থা, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের সুখী ও শান্তিপূর্ণ জীবনের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। প্রতিটি জনকল্যাণকামী রাষ্ট্র নাগরিকদের ন্যায়বিচার, সাম্য, সমমর্যাদা, স্বাধীনতা, মানবাধিকার ইত্যাদি সুনিশ্চিত করে। বাংলাদেশে জুলাই এবং আগস্ট মাসে যে আন্দোলন হয়, তা ছিল মূলত কোটাবিরোধী আন্দোলন অর্থাৎ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে ৫৬ শতাংশ চাকরির কোটাবিরোধী আন্দোলন ছিল। যেসব ছাত্রছাত্রী স্নাতকসম্পন্ন করে চাকরি খুঁজছিল, তারা বছরের পর বছর চেষ্টা করেও কোনো চাকরি পাচ্ছিল না এবং বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিল। তাদের কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়। অতঃপর আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এক দফার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের এই বৈষম্যপূর্ণ পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করে একটি সর্বজনীন কারিকুলাম ও নিরপেক্ষ পরীক্ষা পদ্ধতি অবিলম্বে চালু করা প্রয়োজন, যাতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যরা চাকরি পায়।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমাদের দেশে শিক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ জাতীয় আয়ের দেড় থেকে ২ শতাংশ। অথচ পাশের দেশে ৩ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করা হয়, যা সত্যিই দুঃখজনক। শুধু তাই নয়, দেশের প্রধান উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠে শুধু দলীয় বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে জাতির নিরপেক্ষতার জায়গা কোথায় থাকবে, তা ভাবার বিষয়। তদুপরি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আবাসিক সমস্যা, দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ কর্তৃক দখলদারিত্ব, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় পরিমিত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভাব, ছাত্রসংসদ নির্বাচনের অভাব, সঠিক ও যোগ্য ছাত্রনেতা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। সুতরাং জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশে স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৫টি এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ১০৩টি। গত ১৫ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দলীয় বিবেচনায় পরিচালনা পর্ষদ, প্রশাসনিক নেতৃত্ব বিশেষ করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বোপরি গত ১৫ বছরে এ দেশে শিক্ষামানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে যা সংস্কার করা একান্ত প্রয়োজন, গত ১৫ বছরে বিচারালয় পুরোটাই আওয়ামী দলীয় বিচার ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে। বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং আইনজীবী সমিতি সবই দলীয়করণ করা হয়েছে। যোগ্যতা, মেধা, নিরপেক্ষতা ও আইনগত দক্ষতা বিবেচনা করে বিচারপতি ও সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। প্রতিটি অপরাধীকে বিচারের সম্মুখীন করা আবশ্যক। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও গত ১৫ বছরে আওয়ামী সংস্থায় পরিণত হয়েছে। সরকার বিরোধীদের দমনই ছিল এর প্রধান কাজ। জেল-জুলুম, বিরোধী রাজনৈতিক দলের সভা-সমিতিতে বাধা, গুম, খুন এবং বিরোধীপক্ষকে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে আইন প্রয়োগকারীর কাজ করেছে।

পুলিশ বাহিনী, র‌্যাব, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড, আনসার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। আয়না ঘর তৈরি করে সেখানে বিরোধী দলের নেতাদের বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়, যা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। বিশেষ করে র‌্যাব গত ১৫ বছরে যে ভূমিকা রেখেছে, তাতে র‌্যাবকে বিলুপ্তি ঘোষণার দাবি উঠেছে। যেসব আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য হত্যা ও গুমের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিশেষ কমিশন গঠন করে ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন এবং ভোটের কারচুপিতে সহায়তাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। নিরপেক্ষও যোগ্য ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নির্বাচন কমিশনার ও সদস্য নিয়োগ দিয়ে নির্বাচন দেওয়া উচিত, যাতে প্রতিটি নাগরিক তার ভোটাধিকার ফিরে পায়। জাতীয় সংসদ গঠনমূলক ও জনপ্রতিনিধিদের মতামতেই পরিচালনা করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের গত ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীনতার জন্য শেখ হাসিনা কর্তৃক পরিচালিত সরকার ব্যবস্থা দায়ী। এ দেশে ১৯৯০ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ সাল পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ সরকার ছিল, যা প্রকারান্তে প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বপূর্ণ সরকার। কিন্তু এ সরকারব্যবস্থা জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কোনো ভূমিকা রাখেনি। বিশেষ করে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সুতরাং মন্ত্রিপরিষদ-শাসিত সরকারব্যবস্থার সংস্কার দরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ হলো বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান সংস্কার করা। দ্বিকক্ষের সংসদব্যবস্থা চালু করা। যেখানে উচ্চকক্ষ সিনেট এবং নিম্নকক্ষ জাতীয় সংসদ নামে পরিচালিত হতে পারে। উচ্চকক্ষ প্রেসিডেন্টের কার্যাবলিকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং নিম্নকক্ষ জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা আইনপ্রণয়ন করবে। তাহলে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে।

প্রেসিডেন্ট শাসন বিভাগ, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, জাতীয় সংসদ ও সিনেটের কর্তৃত্বে থাকবেন এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞরা সংবিধান প্রণয়নে ভূমিকা রাখবেন। পক্ষান্তরে, জুলাই-আগস্টের সব গণহত্যার বিচার করা এবং শহীদদের রক্তে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা সার্থক করার জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। তাহলেই শুধু বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ তথা আধুনিক কল্যাণরাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব। যে রাষ্ট্র দেশের প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণের নিশ্চয়তা দেবে। অসহায় নারী, প্রবীণ, বেকার ও প্রতিবন্ধীরা ভাতাপ্রাপ্ত হবে এবং প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়া হবে। আজ এবং আগামীতে এভাবে জনগণের সন্তোষজনক জীবনযাপনের নিশ্চয়তা দিতে পারে নতুন সরকার। যদিও কাজগুলো সময়সাপেক্ষ এবং কঠিন। শুধু দুর্নীতিমুক্ত সরকারি ব্যবস্থাপনা, দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব এবং জনগণের অংশগ্রহণে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

লেখক : গবেষক ও কলাম লেখক

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close