রেজাউল করিম খোকন

  ০৯ নভেম্বর, ২০২৪

বিশ্লেষণ

ফ্রিল্যান্সিং পেশার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে

মাত্র ২৩-২৪ বয়সে যার লেখাপড়া শেষ দিকে থাকার কথা বা চাকরি খোঁজার কথা, তিনি কীভাবে এমন স্বাবলম্বী জীবনযাপন করছেন? এখন তার মতো অনেক তরুণ দেশে বসে ডলারে আয় করেন। অনেকের মাসিক আয় হাজার ডলার বা তার বেশি। এই তরুণ হচ্ছেন ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্সারের বাংলা করা যায় মুক্ত পেশাজীবী। নয়টা-পাঁচটা চাকরির ঘেরাটোপে আবদ্ধ নন তারা। বাসা কিংবা যেকোনো স্থানে বসেই কাজ করতে পারেন। লাগবে নিজের দক্ষতা, বিদ্যুৎ আর গতিশীল ইন্টারনেট-সংযোগ। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান স্থানীয় কর্মী নিলে খরচ বেশি হয়। অনেক সময় চাহিদামতো এত কর্মী পাওয়া যায় না। তারা তখন বাইরে থেকে (আউটসোর্সিং) নির্দিষ্ট কাজটি করিয়ে নেন। এতে ওই প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির যেমন অর্থ সাশ্রয় হয়, তেমনি যেকোনো স্থান থেকে কাজটি করে ওই ব্যক্তিও আয় করেন। বেশির ভাগ কাজ মেলে নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইটে। তথ্যপ্রযুক্তির ভাষায় এগুলো ‘অনলাইন মার্কেটপ্লেস’ (অনলাইন কাজের বাজার)। দেশে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ও সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে। ২০০৫-০৬ সাল থেকে মূলত দেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ আসা শুরু হয়। তরুণেরাই এ কাজে অগ্রণী। দেশে এখন ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। তাদের সব মিলিয়ে বার্ষিক আয় প্রায় ১০০ কোটি ডলার বা ১০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (ডলার ১০৬ টাকা ধরে)। ২০১৪ সাল থেকে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৫৩ হাজার তরুণকে তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সাড়ে ছয় লাখের হিসাবটা আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস ধরে। বাংলাদেশ থেকে ১৫৩টি মার্কেটপ্লেসে কাজ করা হয়। সেগুলো হিসাব করলে এই সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। এর ৫৫ শতাংশেরই বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছর। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নারীদের অংশগ্রহণ এখনো কম। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে ভারত। এরপরই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার ফ্রিল্যান্সারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে। এসব কার্ডধারী ব্যাংকঋণ সুবিধা পাবেন। ব্যাংকের মাধ্যমে বাইরে থেকে আয়ের অর্থ আনলে ৪ শতাংশ প্রণোদনাও দেওয়া হচ্ছে।

সবার আগে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা বুঝতে হবে। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। ভালো হয় প্রথমে কোথাও চাকরি করা কিংবা সফল কোনো ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে থেকে কাজ করা। এসব কাজের উল্লেখ করে মার্কেটপ্লেসে ভালো একটা পোর্টফোলিও তৈরি করে কাজ নিতে হবে। সময়মতো কাজটি করে দিতে হবে। করোনা মহামারির কারণে চাকরির বাজার ছোট হলেও ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্র বেড়েছে। এখন ডিজিটাল বিপণন, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন), গ্রাফিক ডিজাইন ও লোগো তৈরি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া কনটেন্ট রাইটিং (মূলত পণ্য বা সেবার বর্ণনা বা প্রচারণামূলক লেখা), মডার্ন ফটোগ্রাফি, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও হিসাবরক্ষণ বিষয়ের চাহিদা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে দু’ভাবে আয় হয়। একটি অ্যাকটিভ আর্নিং। এটি হচ্ছে সরাসরি গ্রাহকের সঙ্গে কাজ করে আয় করা। আরেকটি প্যাসিভ বা পরোক্ষ আয়। এটি হচ্ছে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ করে আয় করা। বাংলাদেশে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, ফাইভআর, গুরু ডটকম, টপটাল, পিপলপারআওয়ার ইত্যাদি। মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে পারিশ্রমিক ও সময় জানাতে হয় (বিড করা)। কাজদাতা পারিশ্রমিক ও পোর্টফোলিও দেখে যোগ্য ব্যক্তিদের কাজ দেন। এখন অবস্থার উন্নতি হলেও দু-তিন বছর আগেও ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে দেশের মানুষের তেমন ধারণা ছিল না। ‘রাত জাগে, সারা দিন কম্পিউটার নিয়ে থাকে, কী যে করে, এটা তো কোনো চাকরি বা স্থায়ী কিছু নয়, এর কাছে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে না’- এমন কথা শুনতে হয়েছে অনেক ফ্রিল্যান্সারকে। তবে এখন অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তবে ফ্রিল্যান্সারদের কাজের সামাজিক স্বীকৃতি বাড়লেও পথ এখনো অনেক দূর। ফ্রিল্যান্সিংয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। এখন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বেশি, কিন্তু ১০ শতাংশ ভালো আয় করেন। আসলে তথ্যপ্রযুক্তির নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। ফ্রিল্যান্সার হতে হলে নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতার পাশাপাশি যোগাযোগেও দক্ষ হতে হবে। ফ্রিল্যান্সারদের উদ্যোগ, ব্যক্তিগত আয় বাড়লেও ভালো মানের প্রশিক্ষণের সুবিধা নেই। আমাদের আরো এগিয়ে যাওয় উচিত ছিল। দেশের আইসিটি শিল্প খাত থেকে কোনো দিকনির্দেশনা ফ্রিল্যান্সাররা পান না। কোন বিষয়ের চাহিদা ভবিষ্যতে বাড়বে কিংবা কিসে দক্ষ হতে হবে- সেই পথনির্দেশনা নেই। ভারতে অনেক বড় বাজার। এমনকি পাকিস্তানেও একজন ফ্রিল্যান্সার বছরে ১ লাখ ডলার আয় করেন। সেখানে আমাদের কারো বার্ষিক ১০ হাজার ডলার আয় হলেই খুশি। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আইসিটি শিল্প খাত থেকে বিশেষজ্ঞ মতামত ও দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। ফ্রিল্যান্সারদের কাজকর্মে একটা বিষয় চোখে পড়ে। একা একা শুরু করে যখন সফল হন, তিনি আশপাশের তরুণদের সম্পৃক্ত করেন এই কাজে। তাদের আয়ের পথ তৈরি করে দেন। তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে। আইসিটি-সক্ষম কর্মসংস্থানের সুযোগের জন্য দেশের তরুণদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করতে পারলে বিশ্বব্যাপী আউটসোর্সিং বাজারে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ হাব হয়ে উঠবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

দেশে মোট সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার ৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স যোগ করছে অর্থনীতিতে। এই আয়ের অবদান সরাসরি দেশের অর্থনীতিতে পড়ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে গঠনে অনেক কাজ করছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ফ্রিল্যান্সারা বেশি আয় করছে। ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জিত অর্থে আমাদের রেমিট্যান্স দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এটা এক বড় অর্জন। বর্তমান সরকার এই ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা অনেক মেধাবী, স্মার্ট। তারা সহজেই ফ্রিল্যান্সিং কাজটি করতে পারছে। সরকারের দায়িত্ব তরুণদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া। ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা বাড়াতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখন ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এখন গ্রামে বসেই তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। সময়টা এখন তথ্য প্রযুক্তির। বিশ্ব চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। এখন ঘরে বসে যেমনি সারা বিশ্বের খোঁজ-খবর রাখা যায়, ঠিক তেমনি ঘরটাও হতে পারে কর্মস্থল। সেটা সম্ভব ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সেক্টরে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। তারপরেও রয়ে গেছে কিছু সমস্যা। এগুলোর সমাধান করা গেলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর হতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় রেমিটেন্স আয়ের খাত। সৃষ্টি হতে পারে লাখ লাখ নতুন কর্মসংস্থান, যা দেশের বেকারত্বে সমস্যা সমাধানে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য ব্যক্তি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সরকারি উদ্যোগে আরো কিছু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, এমনটাই মনে করছেন এই সেক্টরের ফ্রিল্যান্সার ও বিশিষ্টজনেরা। বাংলাদেশের এই আন্তজার্তিক অনলাইন প্লাটফর্মে কর্মরত এই রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের অনেক সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে সরকার সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। সরকার ঘরে ঘরে চাকরি দিতে পারবেনা। তবে ঘরে ঘরে ফ্রিল্যান্সার তৈরি করতে পারবে। ফ্রিল্যান্সিং একটি সম্ভাবনাময় খাত। আমরা যদি এটাকে কাজে লাগাতে পারি, তাহলে দেশের অর্থনীতিকে খুব ভালো অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে শুধু ব্যক্তিগত উপার্জন দিয়ে খুব বড় কোনো কিছু করা যাবে না, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ। তবে আমাদের মধ্যে একটা ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে যে, ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে তেমন কিছু জানার দরকার নেই। ২ দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে কম্পিউটারে ইন্টারনেট নিয়ে বসলেই ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে, ঝর ঝর করে টাকা আসতে শুরু করবে। এটা আমাদের একটি বড় সমস্যা। বর্তমানে বেশ বড় একটি জব মার্কেট ফ্রিল্যান্সিং। বাংলাদেশের বেকারত্ব দূরীকরণে এটা একটি ভালো ভূমিকা পালন করতে পারে। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে, এমনকি যেখানে ইন্টারনেট আছে, সেরকম উপজেলা পর্যায়েও অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং করছে। কিন্তু সেটা পুরোপুরি কাঠামোগতভাবে হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সারদেরকে আরো প্রশিক্ষণ ও যথার্থ তত্ত্বাবধায়ন করা দরকার। যাতে করে ফ্রিল্যান্সাররা মার্কেট প্লেসসহ বিভিন্ন জায়গায় ভালোভাবে কাজ করতে পারে।

সবাই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একটা স্বপ্ন নিয়ে আসেন। তাদের স্বপ্নটা তখনই সত্যি হবে, যখন তারা সঠিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা উৎস থেকে সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করবে। ভুল জায়গায় গেলে, তাদের স্বপ্নটা দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। তাই যাদের কাছ থেকে অথবা যেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিবেন, তাদের সম্পর্কে ভালো মতো খোঁজ খবর নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে তারা যদি এই সেক্টরের মানুষ হন বা এই সেক্টর নিয়ে কাজ করেন, তাহলে গুগলে সার্চ করলে তাদের সম্পর্কে কিছু না কিছু তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়াও যারা দীর্ঘদিন এই সেক্টরে সফলতার সঙ্গে কাজ করছেন তাদের পরামর্শ নিতে পারেন। আমরা শুধু ফ্রিল্যান্সারদের সফলতাই দেখি, কিন্তু এর পিছনে ব্যয়কৃত অক্লান্ত পরিশ্রম, সময় ও মেধা দেখি না। এতে অনেকে সিদ্ধান্তটা এভাবে নেন যে, অমুক ভাই বা বোন ওয়েব ডিজাইন-ডেভেলপমেন্ট করে মাসে দুই লাখ টাকা আয় করে, আমিও শিখবো। এটা ঠিক না। তার জন্য ওয়েব ডিজাইন-ডেভেলপমেন্ট সঠিক, আপনার জন্য সঠিক কিনা সেটা আগে বুঝতে হবে। না হলে ওই রকম সফলতার পরিবর্তে উল্টোটাও ঘটতে পারে। আপনার যেই কাজটি ভালো লাগে, আপনি সেই কাজটি নির্বাচন করুন। সঠিক বিষয় নির্বাচনের পর আপনাকে মেধা, শ্রম ও সময় দিয়ে ওই বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। যদি দক্ষ হন, তবে মার্কেট প্লেসসহ সর্বত্র আপনার কাজের অভাব হবে না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে যে, সবাই হাতে গোনা কয়েকটি বিষয়ের প্রতি না ঝুঁকে, পছন্দানুযায়ী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারলে ব্যক্তি এবং দেশ উভয় লাভবান হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য ইন্টারনেটের বিকল্প নেই। ঢাকাতে ইন্টারনেট আগের চেয়ে কিছুটা সহজলভ্য ও গতি সম্পন্ন হলেও ঢাকার বাইরে ইন্টারনেট সেবার মান আরো বাড়ানো প্রয়োজন। অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতে এখনো ইন্টারনেটের দাম অনেক বেশি। তাছাড়া বিভাগীয় বা জেলা শহরে খুব বেশি আইএসপি প্রোভাইডার না থাকায়, দামের ব্যাপক তারতম্য দেখা যায়। কোনো কোনো জায়গায় এক এমবিপিএস গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগের জন্য মাসে তিন থেকে চার হাজার টাকা করেও রাখা হয়। ফলে কারো যদি বেশি গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে, তাহলে তাদেরকে অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়। এছাড়া যেসব এলাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ নেই, সেসব জায়াগায় টেলিকম অপারেটরের ইন্টারনেট ব্যবহার করা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় থাকে না, যেটা অত্যন্ত ব্যয় বহুল এবং কম গতিসম্পন্ন, যা দিয়ে প্রফেশনাল কাজ করা খুবই কষ্টকর। সরকারের উচিৎ থ্রিজি নেটওয়ার্ক সর্বত্র বিস্তৃত এবং সহজলভ্য করা এবং লোকাল পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম নির্ধারণে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার, কলাম লেখক

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close