reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৭ অক্টোবর, ২০২৪

বাজার স্থিতিশীল রাখতে তদারকি বাড়াতে হবে

সবজির বাজারে গত এক মাসে যে আগুন লেগেছিল, তার উত্তাপ কিছুটা কমেছে। তবে বাজারের সেই আগুনের উত্তাপ কমতে শুরু করেছে। কেজিতে সবজির দাম কমেছে অন্তত ২০ থেকে ৩০ টাকা। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। তারা বলছেন, বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে দাম আরো কমানো সম্ভব। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরে এলেও কখন আবার সিন্ডিকেট ‘চড়া দামের ঘি’ ঢেলে দেয় সেটাও ভাবনার বিষয়।

চলতি মাসের মাঝামাঝি ভোজ্য তেল আমদানিতে শুল্ক ও স্থানীয় উৎপাদনপর্যায়ে মূসকে ছাড় দিয়েছে সরকার। চলতি মাসে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির ওপরও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মনে করে, এর ফলে বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়লেও দেশের বাজারে সহনীয়পর্যায়ে থাকবে। কিন্তু বাজারে সেই চিত্র দেখা যাচ্ছে না, বরং পণ্যটির দাম বাড়ছে। পাশাপাশি পরিশোধিত চিনি আমদানিতে শুল্ক টনপ্রতি ৬ হাজার থেকে কমিয়ে ৪ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। এতে চিনির দাম কমার কথা। কিন্তু বাজারে পণ্যটির দাম কমেনি। দেশি পেঁয়াজের মজুদ এখন শেষদিকে। তা ছাড়া পূজার কারণে এক সপ্তাহ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এ কারণে দর কিছুটা বেড়েছে। এখন মিয়ানমার, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আসছে। এদিকে ডিম আমদানিতে শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করার পাশাপাশি গত বুধবার আরো ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। কয়েকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান সরাসরি ঢাকার দুটি বড় পাইকারি বাজারে দৈনিক ২০ লাখ করে ডিম সরবরাহ করছে। এর প্রভাবে কিছুটা কমেছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে, যা সপ্তাহ দু-এক আগে ছিল ১৮০ টাকার বেশি। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ এবং সোনালি মুরগি ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংসের দর অনেকটা স্থিতিশীল; বিক্রি হচ্ছে কোথাও ৬২০ টাকা, কোথাও ৭৫০ টাকা কেজিদরে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ২০ টাকা কমেছে সবজির দাম। পাইকারিতে প্রায় সব সবজিতে ২০ টাকা কমেছে। তাই খুচরা বাজারেও ২০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে পটোল বিক্রি করেছি ৮০ টাকা; এখন ৬০ টাকা কেজি। বাজারে প্রতি কেজি করোলা ৮০ টাকা, চিচিঙা ৬০ ও ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেশির ভাগ সবজির কেজি ছিল ৯০ টাকা ছিল। শীতের আগাম সবজি শিমের দাম কিছুটা বেশি। শিম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। দুই সপ্তাহ আগে এ শিম ছিল ৩০০ টাকা কেজি। ছোট আকারের ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, বন্যা নেমে যাওয়ায় ও বৃষ্টির প্রভাব না থাকায় সবজির দাম কমেছে। সামনে আরো কমবে বলে মনে করছেন তারা। আমরা মনে করি, স্বল্প আয়ের মানুষ সবজি যাতে আরো কম দামে কিনতে পারে, সেদিকে সরকারকে নজর দিতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের বাজারে তদারকি আরো বাড়াতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close