নিজস্ব প্রতিবেদক
টানা পতনে শেয়ারবাজার

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল মঙ্গলবার বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের তিন কার্যদিবসেই মূল্যসূচক কমল। আর চলতি বছরে লেনদেন হওয়া ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সাত কার্যদিবসেই মূল্যসূচক কমেছে।
সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে দরপতনের পর মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় লেনদেনের একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুর মতো শেষ পর্যন্তও দাম কমা থেকে দাম বাড়ার তালিকায় থাকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু শেষ ঘণ্টার লেনদেনে বড় মূলধনের বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। ফলে দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকার পরও মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩১টির এবং ৮৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৫০ পয়েন্টে নেমে গেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। প্রধান মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৫১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৯৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৪৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
"