নিজস্ব প্রতিবেদক
অর্থ উপদেষ্টাকে ডিবিএর দুই অনুরোধ
বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে পুঁজিবাজারে
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদকে দুই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে। চিঠিতে মূলধনি আয়ের ওপর থেকে বিদ্যমান কর স্থগিত এবং সিকিউরিটিজ লেনেদেনের ওপর অগ্রিম আয়কর শূর্য দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ডিবিএ।
ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে অর্থ উপদেষ্টার উদ্দেশে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের একমাত্র সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে বাংলাদেশ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, ডিএসই, সিডিবিএল, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যবসায়িক সংগঠনের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। আপনি জেনে খুশি হবেন, পুঁজিবাজারে ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের দরুন ডিবিএ ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সংগঠন এশিয়া সিকিউরিটিজ ফোরামের (এএসএফ) সদস্যপদ লাভ করেছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে স্থান করে নিয়েছে।
কয়েক বছর ধরে কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার। কোভিড-১৯, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ ও দেশি-বিদেশি নানা ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব পুঁজিবাজারকে অস্থির করে দিয়েছে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝে শেয়ার দরে দু-দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত বাজারের শৃঙ্খলা ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে নষ্ট করে দিয়েছে এবং বাজারের পতন দীর্ঘায়িত করেছে। এই দীর্ঘ পতনের ফলে দেশি-বিদেশি বহু বিনিয়োগকারী আস্থা হারিয়ে বাজার থেকে পুঁজি তুলে নিয়েছে।
বাজারের ধারাবাহিক পতন দীর্ঘায়িত হচ্ছে আস্থার সংকটের সঙ্গে তারল্যসংকট একাকার হয়ে। দীর্ঘ এই পতনের ফলে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী তাদের পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। বাজার সূচক গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীসহ বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় বাজারে বড় বিনিয়োগকারী আনা জরুরি।
এক. বিদ্যমান আয়কর আইনে মূলধনি আয়ে ৫০ লাখ টাকার অধিক আয়ের ওপর স্তরভিত্তিক করারোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে বিগত ও বর্তমান বছরে কোনো মূলধনি লোকসানের ভবিষ্যৎ মূলধনি আয়ের সঙ্গে সমন্বয় করার বিধান রাখা হয়নি। এই করারোপের ফলে বড় বিনিয়োগকারী বিনিয়োগের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে বাজারবিমুখ হয়ে পড়েছে। মূলধনি আয়ের ওপর বিদ্যমান করের ছাড় বাজারে বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।
"