নিজস্ব প্রতিবেদক
৪০০ কোটি টাকার ঘরে নামলো লেনদেন
গত কয়েক কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রবিবার দেশের শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। তবে দাম বেড়েছে ইসলামী ধারায় পরিচালিত বেশেরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম। এতে বেড়েছে প্রধান মূল্যসূচক। অবশ্য বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের গতি। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। তারপরও বেড়েছে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক। তবে বাজারটিতে লেনদেন কমে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। এতে ২৮ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন হলো। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এতে কমেছে প্রধান মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে যায়। অবশ্য অল্প সময়ের ব্যবধানেই দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এতে লেনদেনের ১০ মিনিটের মধ্যে সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক একপর্যায়ে ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার পর দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশি কিছু ব্যাংক দাম কমার তালিকায় চলে আসে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্য খাতের ওপরও। এতে দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকা বড় হয়। অবশ্য এর মধ্যেও দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখে ইসলামী শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে দাম কমার তালিকা বড় হলেও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক এবং ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৫টি প্রতিষ্ঠানের।
"