প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
বিদেশে ক্ষতিগ্রস্ত ও মারা যাওয়া প্রবাসীরা পাবেন প্রণোদনা
প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিদেশে দুর্ঘটনায় শারীরিকভাবে ক্ষতি ও মৃত্যু বাবদ কোম্পানি থেকে পাওয়া ক্ষতিপূরণ বৈধ পথে দেশে আনলে তার জন্য প্রণোদনা সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের শীর্ষ অর্থনিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটি। পরে এ সংক্রান্ত জারি করা সার্কুলারটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, বিদেশে কর্মরত অবস্থায় মারা যাওয়া বা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠান বা বিমা কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ বৈধ পথে দেশে আনতে হবে। এর বিপরীতে বিদ্যমান হারে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়া হবে প্রবাসী ও তার পরিবারকে। সে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বাবদ বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থের আয়ের উৎস নিশ্চিত হতে হবে। সে সঙ্গে বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ বৈধ পথে দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে টাকায় রূপান্তর করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে যে, নতুন এ সিদ্ধান্ত নির্দেশনা জারির পর থেকে কার্যকর হবে। তবে নতুন এ সিদ্ধান্তের আগে প্রবাসে মারা যাওয়া বা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশিরা ক্ষতিপূরণ বাবদ যে অর্থ পেয়েছেন, তারা এ প্রণোদনার আওতায় আসবে না।
বর্তমানে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হয়। সরকারের প্রণোদনার পাশাপাশি আগে ব্যাংকগুলোও বাড়তি প্রণোদনা দিত। তবে এখন সরকারি প্রণোদনার বাইরে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ে বাড়তি কোনো প্রণোদনা দেয় না। এর আগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্র্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর দেশে প্রবাসী আয় আসা আগের চেয়ে বেড়েছে। গত আগস্টে ২২২ কোটি মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। আন্দোলন চলার মাস জুলাইয়ে এর পরিমাণ ছিল ১৯১ কোটি ডলার। সে হিসাবে জুলাইয়ের চেয়ে আগস্টে প্রবাসী আয়ে প্রায় সোয়া ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
২০১৯ সালের ১ জুলাই সরকার প্রথম প্রবাসী আয়ের বিপরীতে ২ শতাংশ প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার ঘোষণা দেয়। এ সিদ্ধান্তের কারণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠানোর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮২০ কোটি মার্কিন ডলার। এ টাকা আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি। পরে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে প্রণোদনার পরিমাণ ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়।
"