reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৪ জুন, ২০২৩

অস্থায়ী রাসায়নিক গুদামের উদ্বোধন আজ

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য নির্মিত গুদাম’ প্রকল্পের মাধ্যমে পুরান ঢাকার শ্যামপুরে আজ রবিবার (৪ জুন) অস্থায়ী রাসায়নিক গুদাম উদ্বোধন করা হবে। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই গুদাম উদ্বোধন করবেন। গুদাম উদ্বোধনকালে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, স্থানীয় সংসদ সদস্য তথা ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, প্রকল্পের ঠিকাদার নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মো. আবদুল্লাহ আল মাকসুস এবং বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান উপস্থিত থাকবেন।

পুরান ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিক পদার্থের গুদামে ৩ জুন ২০১০ ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ১১৯ জন নিহত হয়। এছাড়া চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এতে নিহতের সংখ্যা ছিল ৭৮ জন। রাসায়নিক কারখানা ও গুদামে বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, সে লক্ষ্যে পুরান ঢাকায় অবস্থিত রাসায়নিক পদার্থ মজুদের নিমিত্ত গুদাম ও কারখানাসমূহ নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের লক্ষ্যে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বৈধ ব্যবসায়ীদের বিপজ্জনক কেমিক্যাল সাময়িকভাবে সংরক্ষণের নিমিত্ত বিসিআইসির আওতাধীন উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরি, শ্যামপুর, ঢাকার জায়গায় গুদাম নির্মাণের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় এগিয়ে আসে। পুরান ঢাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব রাসায়নিক কারখানা ও গুদামসমূহ একটি নিরাপদ জায়গায় দ্রুততম সময়ে স্থানান্তরের লক্ষ্যে ‘উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরি লি.’ শ্যামপুর, ঢাকার স্থলে ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি জরুরিভিত্তিতে সরকার হাতে নেয়। এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে রাসায়নিক দ্রব্যাদি নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করা এবং পুরান ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে সংরক্ষিত রাসায়নিক পদার্থসমূহ দ্রুত স্থানান্তর ও নিরাপদভাবে সংরক্ষণের জন্য গুদাম নির্মাণ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

প্রকল্পটি মার্চ ২০১৯ সালে শুরু হয় এবং সম্প্রতি এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৭১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অনুদানে ৬ দশমিক ১৭ একর জমির ওপর নির্মিত এ প্রকল্পটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। প্রকল্পের আওতায় ৫৪টি গুদাম এবং তিন তলাবিশিষ্ট দুটি অফিস ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ইছামতী নদীর তীরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) স্থায়ীভাবে একটি কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণ করছে। ৩১০ একর জমি নিয়ে গড়ে ওঠা ‘বিসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল পার্ক’ প্রকল্পের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখানে প্লট বরাদ্দের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close