নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ মার্চ, ২০২৩

আন্তর্জাতিক বিজনেস সামিট বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিরাপদ

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগকে অনেক বেশি সাশ্রয়ী, আকর্ষণীয় এবং নিরাপদ বলে জানিয়েছেন দেশের অর্থনৈতিক বিশিষ্টজনরা। দেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে কাজ চলছে যেখানে বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রচুর সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাই এসব দিকবিবেচনায় বাংলাদেশকে বিনিয়োগের উৎকৃষ্ট হাব উল্লেখ করে এখানে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত তিন দিনের বিজনেস সামিটের দ্বিতীয় দিনে (১২ মার্চ) এই আহ্বান জানান তারা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১০০ বিলিয়ন ডলার ধরা হয়েছে, যা এখন ৬০ বিলিয়ন ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সরকার কাজ করছে, যে কারণে বর্তমানে ভালো বিনিয়োগ পরিবেশ রয়েছে। পাওয়ার সেক্টরের জন্য আমরা এরই মধ্যে কাতার ও সৌদি আরবের সঙ্গে কাজ করছি। তাছাড়া গ্যাসের সমস্যা সমাধানে অভ্যন্তরীণ উৎসকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

সামিটের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেন, সরকার বিনিয়োগবান্ধব সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। চীন, কোরিয়া, জাপান এরই মধ্যে আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করেছে। আমাদের ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজও এগিয়ে চলছে। বিডা অলরেডি ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছে। ডিসিপ্লিন এসেছে ই-কমার্স খাতে। ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগে কাজ করছে দেশ, যেখানে অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করছে এফবিসিসিআই।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চেয়ে সাশ্রয়ী ও নিরাপদ বিনিয়োগ পরিবেশ রয়েছে আমাদের এখানে। আমাদের এখানে বিনিয়োগ করলে ৪৭ থেকে ৮৪ শতাংশ শ্রমিক খাতে সাশ্রয় হবে, ম্যানেজারস স্যালারিতে সাশ্রয় হবে ৪১ থেকে ৬৯ শতাংশ পর্যন্ত।

এছাড়া ৬ থেকে ৮৯ শতাংশ সাশ্রয়ী হবে পানিতে, বিদ্যুতে সাশ্রয় হবে ১০ থেকে ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত। একইসঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি সম্পর্কে বলেন, কোনো ধরনের অনিয়মকে আমরা ছাড় দেই না। আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানা খাতে সুবিধা রয়েছে। সব দিক বিবেচনায় বলতে পারি আমাদের দেশে আপনার বিনিয়োগ হবে নিরাপদ।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমাদের মেগা প্রজেক্টকে ঘিরে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। পদ্মা সেতু, টানেল, পায়রা সেতুসহ আরো অনেক উন্নয়ন হয়েছে বিনিয়োগ-ব্যবসাকে সহজ করতে। বিশ্বের মধ্যে সবুজ কারখানায় সবচেয়ে বেশি আমাদের দেশে। বিশ্বের সবচেয়ে ক্লিন সবুজ কারখানাটিও আমাদের দেশে। আমাদের এখানে রয়েছে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সব সুবিধা-সুবিধা। তাই এখানে আসুন, বিনিয়োগ করুন।

উল্লেখ্য, দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এই সামিটে গত ৫০ বছরে অর্থনীতিতে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলো বহির্বিশে^র কাছে তুলে ধরতে আয়োজন করা হয়েছে। এতে এফবিসিসিআইয়ের অংশীদার হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কাজ করছে। সামিটে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সাতটি দেশের মন্ত্রী, ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ১৭টি দেশের ২০০টিরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন কৌশলগত বিষয়ে তিনটি প্লেনারি সেশন, ১৪টি প্যারালাল সেশন, বিজনেস টু বিজনেস মিট, নেটওয়ার্কিং সেশন, একটি ওপেন হাউস রিসেপশন এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের জন্য গাইডেড ট্যুর রয়েছে এ সামিটে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close