হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

  ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

হিলি সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বৈঠক

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের মাঝে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বানে রবিবার হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখার পাশে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ভারতের হিলি এক্সপোর্টার অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি অশোক কুমার মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমারের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল ও বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন, সহসভাপতি শাহিনুর রেজা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেন রাসেলের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেন। ভারতের হিলি এক্সপোর্টার অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি অশোক কুমার মণ্ডল বলেন, ‘সোনামসজিদ ও ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পাথরসহ অন্যান্য পণ্যের এলসি (ঋণপত্র) হওয়ায় এসব বন্দর দিয়ে প্রচুর পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু এলসি সংকটের কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি কমেছে। পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর জন্য এনবিআরকে বলে যদি পণ্যের এলসি বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘এছাড়া ভারতের অভ্যন্তরে কোয়ারেন্টিন অফিস না থাকায় বাংলাদেশ যেমন অনেক পণ্য রপ্তানি করতে পারছে না, তেমনি আমরাও আমদানি করতে পারছি না। এটা নিয়ে সমস্যা রয়েছে, তা সমাধানে চেষ্টা করেছি।’ বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি শাহিনুর রেজা বলেন, ‘দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে পণ্য খালাস করে খালি ট্রাক যেন দ্রুত ভারতে ফেরত যায়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, প্রতিদিন খুব সকালে যেন বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হতে পারে, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close