নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৭ নভেম্বর, ২০২২

৫৩ রপ্তানি ট্রফি নোমান গ্রুপের ঝুড়িতে

১৯৬৮ সালে যাত্রা শুরু করা নোমান গ্রুপ প্রথম জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পায় ২০০১ সালে। তারপর কেটে গেছে ২২ বছর। এ দীর্ঘ সময়ে একে একে ঝুড়িতে যোগ হতে থাকে ট্রফির সংখ্যা। সব মিলিয়ে এবারের দুটি ট্রফি মিলিয়ে মোট ৫৩টি ট্রফি পেয়েছে গ্রুপটি। মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো প্রদত্ত ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৮-১৯’ এর গোল্ড ট্রফি অর্জন করেছে নোমান গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড এবং নোমান টেরিটাওয়েল মিলস লিমিটেড। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই স্বীকৃতির ট্রফি হস্তান্তর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বস্ত্র ও বস্ত্র জাতীয় পণ্যের রপ্তানি বাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে মন্ত্রীর কাছ থেকে এ স্বীকৃতির ট্রফি গ্রহণ করে গ্রুপটি। জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৮-১৯ পুরস্কার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

নোমান গ্রুপ বস্ত্র ও পোশাক খাতের একটি বৃহত্তম বাংলাদেশি ব্যবসায়িক গোষ্ঠী। এ গ্রুপের কোম্পানিগুলো বিশ্বে বছরে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেক্সটাইল ও পোশাক জাতীয় পণ্য রপ্তানি করে। একই সঙ্গে প্রায় ৭০ হাজার লোক এ গ্রুপে কাজ করে। ১৯৬৮ সালে দেশের বৃহত্তম সমন্বিত টেক্সটাইল গ্রুপ হিসেবে যাত্রা শুরু করে নোমান গ্রুপ। ২০০০ জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লি. আন্তর্জাতিক বাজারে প্রথম রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করে। ২০১২ সালে গ্রুপটি একটি তোয়ালে কারখানা চালু করে ১০০ শতাংশ পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে চলছে। ২০১৫ সালের মধ্যে কোম্পানিটি ২৮টি কারখানা পরিচালনা এবং আরো পাঁচটি নতুন কারখানার উন্নয়ন কাজ শুরু করে। এ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত সুতা, কাপড়, হোম টেক্সটাইল, বিছানার কভার, পর্দা, লেপ কভার, ডেনিম এবং তোয়ালে উৎপাদন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close