নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

‘নগদ’-এর গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৬৮ লাখ

‘নগদ’-এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৬৮ লাখ। উদ্যোক্তার সংখ্যা ২ লাখ ৬৭ হাজার। ডিস্ট্রিবিউটর সংখ্যা ২০৮ জন। দৈনিক লেনদেন প্রায় ৯৫৩ কোটি টাকা। প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ৬ হাজার ২৩১ জন। পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ২ লাখ ৫৫ হাজার। দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে ৬০২টি ‘নগদ’ সেবাকেন্দ্র। দেশব্যাপী ৪৬টি ‘নগদ’ সেবা সেন্টার রয়েছে। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১০ম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপসচিব মো. শামছুল আলম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

‘নগদ’ কোনো রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। তবে ‘নগদ’ শুধু ডাক অধিদপ্তরের সঙ্গে রেভিনিউ শেয়ার করে উল্লেখ করে সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়, সরকারি বিভিন্ন নিয়ম মেনে ৫১ শতাংশ রেভিনিউ গ্রহণের সুযোগ প্রাপ্ত হয় এটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা পাঠানোর মাধ্যমে ‘নগদ’ সেবা উদ্বোধন করেন।

‘নগদ’-এর সেবাগুলো হলো- ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, মার্চেন্ট পেমেন্ট, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, জিটুপি, মোবাইল রিচার্জ, করোনা টেস্টের ফি, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি দেওয়া, অ্যাড মানি (ব্যাংক ও কার্ড থেকে), আয়কর দেওয়া, ডোনেশন, ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম পেমেন্ট, ইএমআই কালেকশন, ই-কমার্স পেমেন্ট, রেলওয়ে টিকিট ফি পেমেন্ট, ইন্ডিয়ান ভিসা ফি পেমেন্ট।

ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর পরে অতি অল্প সময়ের মধ্যে নানাবিধ প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং গ্রাহক ও পরিবেশবান্ধব নানাবিধ কৌশলের কারণে ‘নগদ’ দেশের সাধারণ জনগণের কাছে একটি জনপ্রিয় সেবা হিসেবে নিজেদের অধিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়। ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকসেবা দেওয়ার জন্য রয়েছে হটলাইন নম্বর ১৬১৬৭। বিগত তিন অর্থবছরে ‘নগদ’ সেবা থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ মোট প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা রাজস্ব উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন উপহার, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা বিতরণ কার্যক্রমে ডাক অধিদপ্তরের ‘নগদ’ সেবার ব্যবহারে ভাতা বিতরণ খরচ প্রতি হাজারে ২০ টাকার স্থলে ৭ টাকায় নেমে এসেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী সরকারি সব বিতরণ কার্যক্রম ‘নগদ’ সেবার মাধ্যমে সম্পাদিত হলে শুধু বিতরণ ব্যয় থেকে প্রতি বছর একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে।

‘নগদ’-এর মাধ্যমে মাত্র দুই বছরের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় দেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে সাড়ে পাঁচ কোটি গ্রাহকের অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা ১ কোটি ৪০ লাখ মায়ের ‘নগদ’ মোবাইল অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এতে নারীর ক্ষমতায়নে ‘নগদ’ সহযোগী হিসেবে অংশ নিতে পেরেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close