সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

  ১৭ আগস্ট, ২০২২

ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি কমেছে ৭৫%

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে জিরা আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৭৫ শতাংশ কমেছে। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশীয় বাজারে জিরার চাহিদা কমে যাওয়ায় আমদানিতে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এদিকে জিরা আমদানি কমে যাওয়ায় রাজস্বও কমেছে বলে জানান বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এ বন্দর দিয়ে ১৩৭ টন জিরা আমদানি হয়েছে, যার মূল্য ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যেখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে জিরা আমদানি হয়েছিল ৬৩৫ টন। আমদানি জিরার মূল্য ছিল ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা। যেখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছিল ৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

ভোমরা স্থলবন্দরের অন্যতম মসলাপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় সম্প্রতি দেশীয় বাজারে আমদানি জিরার চাহিদা কম। আমদানি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, হঠাৎ করে ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় জিরাসহ অন্যান্য মসলাপণ্য আমদানি কমেছে। গতকাল ভোমরা স্থলবন্দরে জিরা পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৩৯০ থেকে ৪০০ টাকা, যা কিছুদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৩১০ থেকে ৩২০ কেজি দরে।

আবু হাসান আরো জানান, প্রতি মাসে গড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টন জিরা আমদানি করত তার প্রতিষ্ঠান। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে তার প্রতিষ্ঠানে জিরা আমদানি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টন।

সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের পাইকারি মসলা ব্যবসায়ী ও আড়তদার জহুরুল ইসলাম জানান, দাম বেড়ে যাওয়ায় জিরার চাহিদাও কমেছে। এক মাস আগেও আমদানি জিরা পাইকারি ক্রয় করেছেন করেছে কেজিপ্রতি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা দরে। এখন কিনতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪১০ টাকা দরে। ফলে খুচরা বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে। এ কারণে দেশীয় বাজারে চাহিদা কমে গেছে।

ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের কাজি দিলওয়ার নওশাদ রাজু জানান, উচ্চ শুল্কযুক্ত মসলাপণ্যের মধ্যে এ বন্দর দিয়ে কেবল জিরা আমদানি হয়। কিন্তু জিরার পাশাপাশি এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গসহ অন্যান্য গরম মসলা আমদানির আমদানির সুযোগ দিলে সরকারের রাজস্ব বাড়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবেন। এছাড়া দামও কমে আসবে। ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন জানান, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছর জিরা আমদানি কমেছে। ফলে আমদানি এ পণ্যটিতে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close