নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১১ আগস্ট, ২০২২

প্লাস্টিকশিল্প খাত

হয়রানিমুক্ত ব্যবসার পরিবেশ চান উদ্যোক্তারা

হয়রানিমুক্ত ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করতে পরিদর্শনের নামে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন দেশের প্লাস্টিকশিল্প খাতের উদ্যোক্তারা। গতকাল এফবিসিসিআইতে অনুষ্ঠিত প্লাস্টিক, রাবার, মেলামাইন ও পিভিসি পণ্যবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে তারা এ দাবি জানান। বৈঠকে বক্তারা বলেন, পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার অগ্নিদুর্ঘটনার পর থেকে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে কোনো লাইসেন্স নবায়ন করা হচ্ছে না। এ কারণে সব ধরনের আইনি শর্ত মেনে যেসব বৈধ কারখানা চালু হয়েছিল, সেগুলো অবৈধ হয়ে যাচ্ছে। আর এ সুযোগে সরকারি সংস্থাগুলো পরিদর্শন ও অভিযানের নামে প্রায়ই বিভিন্ন কারখানাকে জরিমানা ও মামলা করছে। এসব ভোগান্তির কারণে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

বৈঠকে ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে প্লাস্টিক পল্লী স্থাপনের কথা থাকলেও এ ব্যাপারে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। তাই পুরান ঢাকার কারখানাগুলো স্থানান্তরের সুযোগও তৈরি হয়নি। প্লাস্টিক পল্লী স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়নের দাবি জানান তারা।

বৈঠকে প্রধান অতিথি এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, দেশে কর্মসংস্থান, রপ্তানি আয় ও শিল্পায়নের বিকেন্দ্রীকরণে ভূমিকা রাখছে প্লাস্টিকশিল্প। ২০২৩ সাল নাগাদ মহামন্দার বৈশ্বিক পূর্বাভাসের কথা উল্লেখ করে সিনিয়র সহসভাপতি বলেন, এ মন্দা মোকাবিলার জন্য রপ্তানি আয় বাড়াতে হবে। সেজন্য প্লাস্টিক খাতের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে।

এর আগে মুক্ত আলোচনায় মেলামাইন পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক জানান, নেপালে বাংলাদেশি মেলামাইন পণ্য রপ্তানিতে ৩৫ শতাংশ শুল্ক গুনতে হয়। বিপরীতে ভারতীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে এ হার মাত্র ১০ শতাংশ। ভারতের মতো বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক কমিয়ে আনতে পারলে নেপালে প্রতি বছর মেলামাইন পণ্য থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয় অর্জন করা সম্ভব।

এ ছাড়া কমিটির সদস্যরা পিভিসি খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাতিল করে ৩ শতাংশ ভ্যাট পুনর্বহাল, প্যাকেজ ভ্যাট আরোপ, রাবার পণ্যকে কৃষিপণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া, খেলনা তৈরির খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে আলাদা এইচএস কোড নির্ধারণের দাবি জানান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, প্লাস্টিক, রাবার, মেলামাইন ও পিভিসি পণ্যবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ আবু মোতালেব, কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম (মিন্টু), মো. আবুল খায়ের, নাজমুল হোসাইন, এফবিসিসিআই উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close