খুলনা ব্যুরো

  ২৭ জুন, ২০২২

কোরবানির পশু কেনাবেচা শুরু

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করছেন খুলনার খামারিরা। এবার আগেভাগেই কোরবানির গরু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তারা সংগ্রহ করে এনেছেন বিভিন্ন সাইজের পশু। তবে গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম একটু বেশি। কারণ হিসেবে খামারিরা বলছেন, পরিবহন ও গো-খাদ্যের দাম বাড়তি হওয়ায় মূলত পশুর দাম চড়া।

আগামী ১০ জুলাই দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হওয়ার সম্ভাবনা। এদিনে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা আল্লাহ সন্তুষ্টি লাভের জন্য পশু কোরবানি দেন। হাটে গিয়ে বাড়তি ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই ঈদের আগে পশু সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। ঈদের বাকি আছে আর মাত্র ১৩ দিন। এর মধ্যে কোরবানির গরু কেনা হয়েছে অনেকেরই।

নগরীর নিরালা সবুজবাগ এলাকায় রয়েছে কয়েকটি গরুর খামার। যদিও এদের প্রধান ব্যবসা দুধ উৎপাদন। ওইসব খামারে বর্তমানে গড়ে উঠেছে ছোটখাটো হাট। খামার মালিকরা খুলনা জেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে সংগ্রহ করছেন বিভিন্ন সাইজের পশু। এরই মধ্যে সংগ্রহকৃত অনেক গরু বিক্রি হয়ে গেছে। ঢাকা ও চিটাগং থেকে ক্রেতারা তাদের গরু পছন্দ করে নিয়ে যাচ্ছে।

কথা হয় নিরালা সবুজবাগের জমজম এগ্রোর ম্যানেজার মো. ইকরামের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার কোরবানিযোগ্য ২২ গরুর মধ্যে ২০টি বিক্রি হয়ে গেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের ক্রেতারা কিনে নিয়েছেন। এদের প্রত্যেকটির ওজন ১২০০ কেজি। বাকি আছে ২টি। এগুলোর দাম হাঁকানো হয়েছে ২২ লাখ টাকা। এদের প্রত্যেকের প্রতিদিনে খাবার বাবদ ব্যয় করতে হয় ২০০ টাকা। তবে বেড়েছে গো০-খাদ্যের দাম। তাই গতবারের তুলনায় এবার পশুর দাম একটু চড়া।

সবুজবাগ এলাকার এস কে ডেইরি ফার্মের ম্যানেজার মো. আলমঙ্গীর হোসেন বলেন, এ খামারের বয়স ৪ বছর। ৩ বছর ধরেই কোরবানির সময় খুলনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পশু সংগ্রহ করে এখান থেকেই বিক্রি করা হয়। গেল এক সপ্তাহে তিনি ৭টি কোরবানিযোগ্য গরু কিনে এনেছিলেন। এর মধ্যে তার ৪টি বিক্রি হয়ে গেছে। বাকি আছে ৩টি। এর মধ্যে ২টির দর গত দুই দিন ধরে ক্রেতারা এসে বলছেন। দামে দরে না হওয়ায় তিনি পশু বিক্রি করেননি।

তিনি আরো বলেন, জেলার বিভিন্ন হাটে গরু আমদানির সংখ্যা বেড়েছে। তবে দালালদের দৌরাত্ম্যের কারণে হাট থেকে তারা পশু কিনতে পারেন না। ৩০ হাজার টাকার গরু ৬০ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে। এরপর এসব পশুর পেছনে রয়েছে বিভিন্ন খরচ। ৫ টাকার চালের কুড়া এখন ১৫ টাকায় কিনতে হয়। বেড়েছে গমের ও ডালের ভুষির দাম। পাল্লা দিয়ে যেন সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। ভারত যদি এলসি বন্ধ রাখে তাহলে আমাদের মতো খামারিরা লাভের মুখ দেখবে। আর যদি এলসি খুলে দেয় তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে। তিনি ৬ মণ ওজনের গরুর দাম হাঁকিয়েছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

ক্রেতা সোনাডাঙ্গার বাসিন্দা শামসুল আলমের সঙ্গে কথা হয় নিরালা সবুজবাগের একটা ফার্মে। হাটে ঘোরাঘুরি চেয়ে আগে বাইরে থেকে পশু কেনাকে তিনি ঝামেলামুক্ত মনে করেন। তবে খামারিরা এবার গতবারের থেকে চড়া দাম চাচ্ছেন। তবে সুযোগ বুঝে তিনি গরু কিনবেন বলে জানিয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close